HomeBharatসম্রাটের এনকাউন্টার তালিকায় এবার ওয়ান্টেড ১২০০

সম্রাটের এনকাউন্টার তালিকায় এবার ওয়ান্টেড ১২০০

- Advertisement -

পটনা, ২৮ নভেম্বর: বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এক বড় ঘোষণা দিয়ে রাজ্যের অপরাধীদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, জমি, মদ এবং বালু মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব অভিযান চালানো হবে। ৪০০ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর এখন নতুন করে ১২০০ মাফিয়ার তালিকা তৈরি হয়েছে। এদের সকলকে জেলে পুরে দেওয়া হবে এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

এই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের সুশাসনের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বিহারের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে নতুন মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। চৌধুরী বলেছেন, “এই মাফিয়ারা বিহারের উন্নয়নের পথে বাধা। তাদেরকে শেষ করে বিহারকে অপরাধমুক্ত করব।”এই ঘোষণা এসেছে গত ২৬ নভেম্বর, যখন সম্রাট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পটনায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “জমি মাফিয়া, বালি মাফিয়া বা মদ মাফিয়া কেউই বাঁচবে না। তাদের পরিচয় সংগ্রহ করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ সহকারী পদত্যাগে রাজনীতিতে তোলপাড়

বিহার পুলিশের প্রধান লক্ষ্য হবে নিতীশ কুমারের সু-শাসনকে আরও মজবুত করা এবং অপরাধীদের মনে ভয় জাগানো।” এরপরেই ১২০০ জনের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা পূর্বের ৪০০ জনের তালিকার সাথে যুক্ত। এই তালিকায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার নামকরা অপরাধীদের নাম রয়েছে, যারা বছরের পর বছর ধরে অবৈধ ব্যবসায় লিপ্ত। সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, এই অভিযানে বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গঠন করা হবে, যা প্রত্যেক জেলায় মোতায়েন হয়ে কাজ শুরু করবে।

বিহারে মাফিয়াদের প্রভাব কোনো নতুন কথা নয়। জমি মাফিয়ারা কৃষকদের জমি দখল করে, জাল দলিল তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করে। বালি মাফিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে পরিবহন করে, যা পরিবেশ ধ্বংস করে এবং পরিকাঠামোগত প্রকল্পের খরচ বাড়িয়ে দেয়। আর মদ মাফিয়া?

বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরও এরা গোপনে উৎপাদন ও চোরাই করে বিপুল অর্থ উপার্জন করে। গত এক বছরে সরণ জেলায় পুলিশ ৪০০ লিটার অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করে ৪৭ জনকে গ্রেফতার করেছে, যা এই অভিযানের প্রথম সাফল্যের সংকেত। কিন্তু এই মাফিয়ারা শুধু অর্থের খেলা খেলে না, রাজনীতিতেও তাদের প্রভাব রয়েছে। অনেক রাজনীতিবিদ এদের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিতীশ সরকারের এই পদক্ষেপকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

চৌধুরীর এই ঘোষণার সাথে সাথে অন্যান্য উদ্যোগও ঘোষিত হয়েছে। তিনি ‘পিঙ্ক প্যাট্রোলিং’ চালু করার কথা বলেছেন, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারপাশে বিশেষ পুলিশ টিম মোতায়েন করে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। জেলগুলোতে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হবে—মোবাইল ফোনের অপব্যবহার রোধ করতে সবাইকে দায়বদ্ধ করা হবে। সাইবার ক্রাইম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অপব্যবহারের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular