বিহারের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মহাগঠবন্ধন

bihar-election-results-grand-alliance-court-challenge-sir-ndaseats

পটনা : বিহারের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন ঝড় উঠেছে। ১৪ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশের পর নিজস্ব জনঘোষণা (এসআইআর) এবং নিতীশ কুমারের অক্ষয় জনপ্রিয়তার জোরে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২০২ আসন জিতে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে। কিন্তু পরাজয়ের কড়া ধাক্কা খাওয়া মহাগঠবন্ধন আরজেডি, কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলির জোট – এখনও হাল ছাড়েনি।

Advertisements

তারা ফলাফলকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করার পরিকল্পনা করছে, ভোটার তালিকায় অনিয়ম এবং ইভিএম-এর সন্দেহ নিয়ে। আইনত তাদের ৪৫ দিনের মেয়াদ আছে আদালতে পিটিশন দায়ের করার, এবং তারা বলছে, এই সময়ের প্রতিটি ঘণ্টা কাজে লাগিয়ে ‘ভিকটিমহুড’-এর ছবি আঁকবে। কিন্তু বিজেপি নেতারা এটাকে ‘হার মেনে নেওয়ার পরের নাটক’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছে এবং বলছে, একটা শক্ত হাতের বিচারিক থাপ্পড়ে এই ড্রামা চিরতরে শেষ হবে।

   

লঞ্চের আগেই রেকর্ড গড়ল iQOO 15, প্রি-বুকিং ও সার্চ ট্রেন্ডে শীর্ষে

নির্বাচনের ফলাফল সত্যিই মহাগঠবন্ধনের জন্য ধাক্কার মতো ছিল। ২০২০-এর নির্বাচনে তারা ১১০ আসন পেয়েছিল, কিন্তু ২০২৫-এ মাত্র ৩৫ আসনে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আরজেডির তেজস্বী যাদব, যিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে সামাজিক ন্যায়ের ডাক স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পেইন চালিয়েছিলেন, এবার মাত্র ২৩ আসন পেয়ে হতাশায় ডুবে গেছেন।

কংগ্রেস মাত্র ৪ আসন জিতেছে, যা দলের জন্য লজ্জার। মহাগঠবন্ধনের নেতারা অভিযোগ করছেন যে, এসআইআর-এর ভিত্তিতে ভোটার তালিকা সংশোধন করে এনসিপি (নিজস্ব জনঘোষণা) ১২৮ আসনে জয় করে নিয়েছে।

Advertisements

তেজস্বী যাদব বলেছেন, “এটা ভোটারদের বিশ্বাসঘাতকতা নয়, প্রশাসনের ষড়যন্ত্র। আমরা ভোটার তালিকার প্রতিটি নামের রেকর্ড চাইব।” কংগ্রেসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, “মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় যেভাবে আমরা রেকর্ড দাবি করেছি, বিহারেও তাই করব। ফর্ম ১৭সি, পোলিং স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্ট্রং রুমের ভিডিও সবকিছু চাই।”এই অভিযোগের মূলে রয়েছে ভোটার তালিকায় কথিত ব্যাপক মুছে ফেলা।

মহাগঠবন্ধনের দাবি, এসিআইআর-এর তথ্যের ভিত্তিতে এনসিপি লক্ষাধিক নাম মুছে দিয়েছে, যা ওবিসি-এসসি এবং আদিবাসী ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ভোটার মুছে ফেলার তথ্য প্রকাশ করেছে, কিন্তু তারা বলছে, এগুলো জয়ের মার্জিনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, কয়েকটি আসনে মাত্র কয়েকশো ভোটের ব্যবধানে জয় হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার নাম মুছে ফেলা হয়েছে।

এছাড়া, ইভিএম-এর সন্দেহ নিয়ে তারা বলছে, ওয়েবকাস্টিং ফুটেজ এবং কাউন্টিং সেন্টারের রেকর্ড ছাড়া ফলাফল নির্ভরযোগ্য নয়। আইনত, নির্বাচনী ফলাফলের ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে রাজ্য হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করা যায়। ফলাফল ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে, তাই ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। মহাগঠবন্ধন এখনই আইনজীবীদের খোঁজা শুরু করেছে এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে রেকর্ডের দাবি জানিয়েছে।