বিহার মসনদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজেপি বনাম জেডিইউ

bihar-election-live-bjp-vs-jdu-nda-seat-results

পটনা: বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। মহাজোট কে পিছনে ফেলে অনেক আগে NDA। NDA তেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আসন যখন নিয়ে। এই মুহূর্তে বিজেপি এগিয়ে ৮৭ টি আসনে এবং JDU এগিয়ে ৮০ টি আসনে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্র পালটে যাচ্ছে। দুই ধাপে (৬ এবং ১১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ২৪৩টি আসনের ভাগ্য নির্ধারণের লড়াই চলছে।

Advertisements

প্রথম থেকেই রাজ্যের ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) মহাগঠবন্ধনকে অনেক পিছনে ফেলে এগিয়ে আছে। এনডিএর মোট আসনের সংখ্যা ১৯০-এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার (১২২) চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু এই অগ্রগতির মধ্যেই এনডিএর অভ্যন্তরীণ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং নিতীশ কুমারের জনতাদল ইউনাইটেড (জেডিইউ) আসন নিয়ে কে ‘বড় ভাই’ হবে, সেই প্রশ্নটা এখন সবার মুখে।

   

এই মুহূর্তে (দুপুর ১২টার কাছাকাছি) নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, বিজেপি ৮৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, আর জেডিইউ ৮০টিতে। এনডিএর অন্যান্য সঙ্গী দলগুলো—লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) ২২টি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএমএস) ৪টি—একসঙ্গে এনডিএকে শক্তিশালী করেছে।

অন্যদিকে, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) মহাজোটের নেতৃত্বে মাত্র ৩৪টি আসনে সীমাবদ্ধ, কংগ্রেস ৯টিতে এবং বামপন্থী দলগুলো ৫টিতে। মহাজোটের মোট আসন ৫০-এর নিচে, যা ২০২০-এর তুলনায় বড় ধাক্কা। প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি ৫টি আসনে এগিয়ে থাকলেও কোনো বড় পরিবর্তন আনতে পারেনি।

Advertisements

এই ফলাফলের পিছনে কী কারণ? প্রথমত, নির্বাচনের আগেই একাধিক এক্সিট পোল (যেমন অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া, টুডেজ চাণক্য, ম্যাট্রিজ) এনডিএকে ১৪০-১৬০ আসনের পূর্বাভাস দিয়েছিল, আর সেই অনুমান সত্যি হচ্ছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ—রাজ্যে তীব্র প্রচার চালিয়ে ‘বিকশিত বিহার’ এবং ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কথা তুলে ধরেছিল।

জেডিইউ-এর পক্ষে নিতীশ কুমারের ‘সুস্থ বিহার’ এবং নারী কল্যাণমূলক স্কিম (যেমন ৩৫% নারী মতদানকারীর অগ্রগতি) কাজে লেগেছে। ফলে, মহাজোটের ‘জড়তা মুক্ত বিহার’ স্লোগান সত্ত্বেও, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে আরজেডি পিছিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, তেজস্বীর নিজের রঘুপুর আসনেও বিজেপির সতীশ কুমার ১,২৭৩ ভোটের মার্জিনে এগিয়ে, যা মহাজোটের জন্য বড় ধাক্কা।