HomeBharatলক্ষ্য স্থির ছিল! NDA এর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সুধাংশু

লক্ষ্য স্থির ছিল! NDA এর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সুধাংশু

- Advertisement -

পটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনার মধ্যেই রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। রাজ্যের ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেবে, তা নিয়ে সকাল থেকেই তীব্র কৌতূহল ভোটারদের মধ্যে। ঠিক এই আবহেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী। তাঁর দাবি, ‘দিক ঠিক ছিল, গন্তব্য আরও ভালো হবে’ এই বিশ্বাসই আজ সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।

ত্রিবেদী বলেন, “আমরা এক্সিট পোলের সময়ই বলেছিলাম, দিক সঠিক। কিন্তু গন্তব্য আরও ভালো হবে। চূড়ান্ত ফলাফল প্রমাণ করছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নীতীশ কুমারজি-র নেতৃত্বে এনডিএ যে কাজ করেছে, তা বিহারের সাধারণ মানুষ গভীরভাবে মূল্যায়ন করেছেন।” তাঁর এই বক্তব্যে স্পষ্ট, বিজেপি নেতৃত্ব এনডিএ-র ফলাফল নিয়ে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং সফলতার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দেখতে পাচ্ছেন।

   

১৭০-র বেশি আসনে এনডিএ এগিয়ে, অনেকটা পিছিয়ে ৬৫-তে ‘ইন্ডিয়া’ জোট

ভোটগণনার প্রথম দিককার প্রবণতায় দেখা গেছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাঝেও এনডিএ জোট ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। কখনো সংখ্যায় সামান্য পিছিয়ে পড়লেও কিছুক্ষণের মধ্যে আবার লিড ফিরে পাচ্ছে। এই ওঠানামার মাঝেও বিজেপি শিবিরের মুখে অস্বাভাবিক আত্মবিশ্বাস যা ত্রিবেদীর বক্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, “বিহারের মানুষ উন্নয়ন চায়, সুশাসন চায়। গত কয়েক বছরে কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে যে উন্নয়ন-অভিযান চলেছে, সেই পথেই বিহার এগোবে। আজকের প্রবণতা প্রমাণ করছে, জনগণ সেই উন্নয়নের রাজনীতিকেই ভোট দিয়েছেন।”

বিহারের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি-জেডিইউ জোট যদি শেষ পর্যন্ত নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়, তবে আগামী পাঁচ বছর রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত পরিবর্তন দেখা যাবে। বিশেষত কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন, মহিলাদের নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ উন্নয়নের মতো ইস্যুতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে সরকার।

তবে বিপক্ষ শিবির বলছে, ভোটের যুদ্ধে দিনের শেষে ছবিটা বদলাতেও পারে। এই মুহূর্তে গণনা চলছে, এবং চূড়ান্ত ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবুও বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, এনডিএ-র ‘মোদী-নীতীশ মডেল’ ভোটারদের মন জয় করেছে।

সুধাংশু ত্রিবেদী সাংবাদিকদের আরও বলেন, “এনডিএ সরকারের কাজ শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। বাস্তব উন্নয়ন, স্বচ্ছ শাসন এবং যুবসমাজের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার যে দৃষ্টিভঙ্গি—তা মানুষ wholeheartedly গ্রহণ করেছেন। আজকের ফল সেই গ্রহণযোগ্যতারই প্রতিফলন।”

তিনি আরও দাবি করেন, বিরোধীরা শুধু নেতিবাচক রাজনীতি করেছে। একদিকে যেখানে এনডিএ উন্নয়নের কথা বলেছে, অন্যদিকে বিরোধীরা শুধুই অভিযোগ তুলেছে। এর ফলেই জনগণ বিচক্ষণতার সাথে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিহারের এই নির্বাচনের ফলাফল আগামী দিনের জাতীয় রাজনীতিতেও গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত মোদী সরকার ২০২৯ সালের দিকে এগোতে থাকায়, রাজ্যগুলিতে এনডিএ-র শক্তি বৃদ্ধি তাদের রাজনৈতিক অবস্থান আরও মজবুত করবে।

দুপুর গড়াতে গড়াতে ভোটগণনা আরও স্পষ্ট চিত্র দেবে। তবে সকাল থেকে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে এনডিএ শিবিরে ইতিমধ্যেই উৎসবের আভাস। সুধাংশু ত্রিবেদীর মত, “এটাই প্রমাণ মোদীজি-র নেতৃত্বে দেশ এগোচ্ছে, আর বিহারও সেই পথেই হাঁটছে।” ফল যা-ই হোক, বিহারের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের লড়াই আজই নির্ধারণ করবে আগামী পাঁচ বছরের গতিপথ।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular