বহরমপুর: বেলডাঙ্গায় বাবরি মসজিদ শিলান্যাস (Berhampore Ram Temple) আবহে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলার রাজনৈতিক আবহাওয়া। এই আবহেই ফের আরও একবার চরমে উত্তেজনা। উত্তেজনার কারণ বহরমপুরে রাম মন্দিরের শিলান্যাস। একদিকে বেলডাঙ্গায় যেমন বাবরির শিলান্যাস।
ঠিক তেমনই শাখারভ সরকারের উদ্যোগে বহরমপুরে হয়ে গেল রাম মন্দিরের শিলান্যাস। সংবাদ মাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শাখারভ বলেন। ১৯৯২ সালে আজকের দিনেই রাম মন্দিরের সূচনা হয়েছিল তাই আমরাও বহরমপুরে রাম মন্দিরের শিলান্যাস করলাম।
উর্ধ্বমুখী বিমানভাড়া কমাতে কঠোর নির্দেশ জারি কেন্দ্রের
তিনি বলেন এই রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল হবে, শিক্ষা কেন্দ্র হবে। বাবরি মসজিদ নিয়ে শাখারভ বলেন হুমায়ূনের বাবরি মসজিদ আদতে মমতা বন্দোপাধ্যায় করেছেন। তিনি নির্বাচনের আগে সশরীরে হয়তো করেননি কিন্তু পরোক্ষ ভাবে হুমায়ূনকে দিয়ে করিয়ে দিলেন। তিনি আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন এই ঘটনাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হুমায়ূনকে লোক দেখানো সাসপেন্ড করা হল। তিনি বলেন হুমায়ুন এর আগেও SDPO উত্তম গড়াই কে কটূক্তি করেছিলেন কিন্তু তখন তার বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন বাংলায় যদি মসজিদ হয় তাহলে মন্দিরও হবে। তিনি বলেন মসজিদ নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই কিন্তু বাবরের নাম মসজিদ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। বহরমপুরে প্রায় ৫০ বিঘার উপরে তৈরী হবে এই রাম মন্দির। শুধু মন্দির নয় শাখারভ বলেন মন্দির হলে এখানে মানুষের অন্য সংস্থান হবে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বঙ্গের রাজনীতি এই মুহূর্তে ধর্মীয় রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলার রাজনীতিতে এই ধর্মীয় মেরুকরণের কোনও জায়গা ছিলনা কিন্তু সম্প্রতি বাবরি মসজিদ ঘিরে বাংলার রাজনীতিতে যে চাঞ্চল্য তৈরী হল তা কখনই কাম্য ছিলোনা। এর প্রতুত্তরে বহরমপুরে রাম মন্দিরের শিলান্যাস দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এটা রাজনৈতিক লড়াই নয়, ধর্মীয় লড়াই। তাদের মতে ভোট বড় বালাই এবং হিন্দু মুসলিম ভোট সমীকরণ কি হতে চলেছে তা ভবিষ্যতে আরও স্পষ্ট হবে।
তবে উদ্যোক্তা শাখারভ সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী শুধু মন্দির নয় এই মন্দির ঘিরে হতে চলেছে উন্নয়ন। বাবরি হোক বা রাম মন্দির তাতে কি বাংলার উন্নয়ন হবে? এমন প্রশ্ন করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এবং তাদের মতে যে কোনো রাজনৈতিক দলেরই উচিত উন্নয়নের রাজনীতি করা।


