বহরমপুর: বেলডাঙ্গায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে (Babri Shilanyas)। বিকেলে পুরুলিয়া থেকে সংবাদ মাধ্যমকে সংকেত দিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পুলিশ আগামীকাল দাঁড়িয়ে থেকে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করাবে। তার এই ভবিষ্যৎবাণী সত্যি প্রমাণিত করে বেলডাঙ্গায় পৌঁছেছেন ১০০ পুলিশ অফিসার।
সূত্রের খবর, রাত থেকেই বেলডাঙা এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে বিশাল পুলিশ ফোর্স। শুধু সাধারণ বাহিনী নয় শুরু হয়েছে টপ–লেভেল নজরদারি। মোট ১০০ জন পুলিশ অফিসার, যার মধ্যে রয়েছেন ডিএসপি, ইন্সপেক্টর, সাব–ইন্সপেক্টরসহ বিভিন্ন র্যাঙ্কের আধিকারিক। পাশাপাশি পাঠানো হয়েছে ২৫০ জন RAF এবং ১০০ জন কনস্টেবল।
আদালতের নির্দেশে পূর্ণাঙ্গ দাগি তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি
অন্যদিকে পুরো পরিস্থিতির তদারকির জন্য উপস্থিত করা হয়েছে একজন পুলিশ সুপার ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে। প্রতিটি আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে বহরমপুর সদর দফতরে। এরই মাঝে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছে বিকেলের দিকে। রেজিনগর ও হরিহরপাড়া থানার আইসিরা গোপনীয়ভাবে পৌঁছে যান তৃণমূলের সদ্য সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কাছে।
বাবরি মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠান নিয়ে তাঁর অবস্থান জানতেই বন্ধ ঘরে আলোচনায় বসেন দুই পুলিশ অফিসার। সূত্রে জানা যাচ্ছে, কথোপকথনটি হয়েছে অত্যন্ত সংবেদনশীল পরিবেশে। কি বলা–শোনা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আসেনি, তবে স্পষ্ট প্রশাসন কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। সদ্য দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া হুমায়ুন কবির এখনও বাবরি মসজিদ নিয়ে অনড়।
বাবরি মসজিদ নিয়ে হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই একটি মামলা হয়েছে এবং তা হয়েছিল বামফ্রন্টের তরফ থেকে। প্রথমে মসজিদ বানানো বন্ধ করা নিয়ে মামলা হলেও কিন্তু আসলে এই মামলায় মসজিদ বন্ধ করার কথা বলা হয়নি বরং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে সেই কথাই বলা হয়েছিল। তবে বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে বাম নেতা এবং চেয়ারম্যান মহম্মদ সেলিম হুমায়ুন কবিরের সাথে ফোন কথাও বলেন। বিজেপির দাবি ঠিক সেই কারণেই কি এই মসজিদ বন্ধ করার কথা আদালতে তোলাই হয়নি? আপাতত সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামীকাল।


