সুদখোর, দালালসহ ১৮ জনের লাইন! বাগদায় প্রার্থী বাছতে পাগল দশা বিজেপির?

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপি থেকে আসা বিশ্বজিৎ দাস। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎকে নিজের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে লোকসভায় প্রার্থী হতে…

BJP B

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপি থেকে আসা বিশ্বজিৎ দাস। বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎকে নিজের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে লোকসভায় প্রার্থী হতে হয়েছিল। আপাতত বিধায়ক শূন্য এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেও দিয়েছে। ওদিকে বিজেপি শিবিরেও প্রার্থী হতে লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। সেই সাথে শুরু তুমুল ঝগড়া।

প্রার্থী কে হবে সেটা ঠিক না হলেও, বাগদায় ইতিমধ্যেই ‘সুদখোর’,’দালাল’ আখ্যা দিয়ে দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ বাগদার বিভিন্ন এলাকা। স্থানীয় বিজেপি নেতা হারাধন হালদার ও বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের বিরুদ্ধে প্রচুর পোস্টার পড়েছে। দাবি একটাই, এই দুই নেতাকে যেন কোনোভাবেই উপনির্বাচনে প্রার্থী করা না হয়।

   

বাগদা বিধানসভায় সুদখোর হারাধন হালদারকে চাই না’, ‘বাগদা বিধানসভায় তৃণমূলের দালাল দুলাল বরকে চাই না’- এরকম বক্তব্য লেখা পোস্টারে ছয়লাপ বাগদা বিধানসভার আশারু, জিয়ালা মোড়, চোয়াটিয়া সহ একাধিক জায়গা। মজার ব্যাপার হোল প্রত্যেক পোস্টারের নিচে লেখা আছে ‘প্রচারে ভারতীয় জনতা পার্টি’।

গোলমেলে ব্যাপারের শেষ কিন্তু এখানেই নয়। আছে বেশ জটিল ট্যুইস্টও! পেশায় প্রতিষ্ঠিত সোনার ব্যবসায়ী হারাধন হালদার, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছের লোক বলে পরিচিত। আবার দুলাল বর শান্তনুর বিরোধী গোষ্ঠী। ফলে বোঝাই যাচ্ছে দুই শিবিরের মধ্যে পোস্টারের লড়াইয়ে বাগদায় ভোটের যুদ্ধের আগে এই গৃহযুদ্ধ সামলাতে হবে বিজেপিকে।

সুত্র মারফৎ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই বিধানসভায় উপনির্বাচনে বিজেপির টিকিটের জন্য ১৭-১৮ দাবিদার রয়েছেন! শোনা যাচ্ছে, গাইঘাটার কোনও নেতার স্ত্রী বিজেপির টিকিট পেতে পারেন। তাঁর নাম নাকি ইতিমধ্যেই কলকাতায় মুরলিধর সেন স্ট্রীটের সদর দপ্তরে আলোচনায় রয়েছে।

তবে সদ্যসমাপ্ত লোকসভানির্বাচনের ফলাফলে বাগদা আসনে তৃণমূল বেশ ভাল মার্জিনে পিছিয়ে রয়েছে। যদিও তারা মতুয়া অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে বড়মা বীণাপাণি দেবীর নাতনি তথা মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণাকে। কিন্তু এগিয়ে থেকেও এই আসন শুধু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই হাতছাড়া হয়ে যাবে কিনা, সেই আশঙ্কা ইতিমধ্যেই দানা বাঁধছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে।