আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে মাদারিহাট ব্লকের BDO প্রশাসনিক কাজ ছেড়ে তৃণমূলের তাবেদারী করেন। এই অভিযোগেই BDO অফিসে ঢুকে বচসায় জড়ালেন সাংসদ মনোজ টিগ্গা। বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন “আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের বিডিও প্রতিদিন সরকারি কার্যালয়ে বসে শাসকদল তৃণমূলের তাঁবেদারি করছেন এবং সাধারণ জনগণকে চূড়ান্ত হয়রানির মধ্যে ফেলছেন।”
মমতা-অভিষেকের পদযাত্রা, ভোটার তালিকা বিতর্কে উত্তপ্ত রাজ্য
“সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের বিডিওর সামনে গিয়ে প্রতিবাদ জানালেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ শ্রী মনোজ টিগ্গা মহাশয়। কিন্তু ঔদ্ধত্য কোন পর্যায়ে পৌঁছালে তিনি পায়ের উপর পা তুলে চেয়ারে বসে রয়েছেন যখন ওই অঞ্চলের মাননীয় সাংসদ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন! শাসকদলের মদতে এই দুর্বৃত্তায়ন এবং চূড়ান্ত ঔদ্ধত্যের বিচার সাধারণ মানুষ করবে আসন্ন নির্বাচনে।”
রাজ্যজুড়ে মানুষ একত্রিত হচ্ছেন এই অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক মহল দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাবের কবলে। সরকারি কাজের নামে শাসকদলের নির্দেশ মেনে চলা হচ্ছে। সেই কারণেই সাংসদ টিগ্গা নিজে বিষয়টি দেখতে গিয়েছিলেন। দলের বক্তব্য, “এটা প্রশাসনিক পর্যবেক্ষণ, কোনও রাজনৈতিক নাটক নয়।”
অন্যদিকে, প্রশাসনিক মহল সূত্রে জানা যায়, বিডিও ঘটনার জন্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “আমি সরকারি কর্মচারী, প্রশাসনিক নীতি মেনে কাজ করছি। রাজনৈতিক মন্তব্য করা আমার কাজ নয়।” তবে মনোজ টিগ্গা অভিযোগ করেছেন যে এই BDO তৃণমূলের সঙ্গে ত্রাণ বন্টনের কাজ করেন। এবিং তিনি বলেছেন কোনো দলের হয়ে এই ধরণের কাজে অংশ নেওয়া অসাংবিধানিক।
এই ঘটনার পর বিজেপি বনাম তৃণমূল দ্বন্দ্ব ফের নতুন করে উস্কে উঠেছে। তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা বলেন, “বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়ে এখন প্রশাসনকে দোষ দিচ্ছে। যারা কেন্দ্রে বসে সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে, তারা এখন রাজ্য প্রশাসনের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে — এটা হাস্যকর।” রাজনৈতিক মহলের মতে, আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এবং এই ধরণের প্রশাসনিক পদের মানুষরা দলের তাবেদারী করেই থাকেন।
