শহিদদের সম্মান, মমতার ২১-য়ের মঞ্চ থেকে দিল্লিকে কড়া হুঁশিয়ারি অখিলেশের

২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে হুঙ্কার সমাজবাদী সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের। সেইসঙ্গে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন তিনি।…

Akhilesh

২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে হুঙ্কার সমাজবাদী সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের। সেইসঙ্গে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। অখিলেশ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে কলকাতায় আসতে পেরেছি। সভামঞ্চে বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং তৃণমূল কর্মীরা এসেছেন। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে বাংলায় আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, দলের কর্মীরাই দলের সম্পদ। অতীতে তৃণমূল কর্মীদের শহীদদের আত্মবলিদানকে সম্মাণ জানাই। দলীয় কর্মীদের এই আত্মত্যাগ কোনও রাজনৈতিক দল, নেতা ও কোনও দেশের ঐতিহ্যশালী ইতিহাস তৈরি করে। দিদির কাছে সেই কর্মীরা রয়েছেন যারা দলের জন্য নিজের প্রাণ বিসর্জনও করতে পারেন।

   

দিল্লি সবসময় ষড়যন্ত্র করছে। ভীতুরাই ষড়যন্ত্র করে। তাঁরা চায় এভাবেই গোটা দেশে নিজেদের প্রভুত্ব কায়েম করতে চায়। সেটা সাময়িকভাবে হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে তা কখনই চিরকাল সম্ভব হবে না। দিল্লি সরকার কিছুদিনের অতিথি। এই সরকার বেশিদিন টিকবে না। খুব তাড়াতাড়ি পড়ে যাবে। কারণ মানুষ জেগে গেলে এই সরকার বেশিদিন চলতে পারবে না। আর মানুষ জেগে গিয়েছে। তাই বাংলার মানুষ বিজেপিকে হারিয়েছে, তেমন উত্তরপ্রদেশের মানুষও বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছে।

রবিবার বেলা ১২ টায় কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালিঘাটের বাসভবনে পৌঁছন তিনি অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সঙ্গে নিয়ে পৌঁছন ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে।

এবারের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ রাজ্যের শাসক দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসূচি। মনে করা হচ্ছে, এই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই আগামী ২৬ এর বিধানসভা ভোটের ছন্দ বেঁধে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই আগামীদিনে এগিয়ে যাবে দল। এবার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। তারপর উপনির্বাচনে বিপুল মার্জিনে জয় দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের ৮০ টির মধ্যে ৪০ টির ওপর আসন জিতে যোগীদের ঘুম উড়িয়েছে সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের জয় মোদী বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে ২৪০ টা আসন পেতে সাহায্য করেছে। তাই বর্তমান জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলেশের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে। এবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে ইন্ডিয়া জোটের এই নেতার একই মঞ্চে অবস্থান মোদী বিরোধী জোটকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এরমধ্যে অখিলেশের যোগদান তৃণমূলের ২১ জুলাইকে জাতীয়স্তরে রাজনৈতিকভাবে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুললো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভা ভোটেও উত্তরপ্রদেশে বিজেপির থেকে এবার অপ্রত্যাশিত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে অখিলেশের দল। উত্তরপ্রদেশের ৮০ টির মধ্যে ৪০ টির ওপর আসন জিতে যোগীদের ঘুম উড়িয়েছে সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের জয় মোদী বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে ২৪০ টা আসন পেতে সাহায্য করেছে। তাই বর্তমান জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলেশের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে। এবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে ইন্ডিয়া জোটের এই নেতার একই মঞ্চে অবস্থান মোদী বিরোধী জোটকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।