ক্ষমতায় এসেই বিজেপি পাল্টে দিলো পুরীর মন্দিরের নিয়ম! শোরগোল ভক্তদের মধ্যে

এবার জগন্নাথ দর্শনে আরও সুবিধা জনগনের! দীর্ঘ ২৪ বছর পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছে উড়িষ্যা! আর তারপরেই উড়িষ্যার অধিপতি জগন্নাথ দেবের মন্দিরে চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম।…

Jagannath temple

এবার জগন্নাথ দর্শনে আরও সুবিধা জনগনের! দীর্ঘ ২৪ বছর পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছে উড়িষ্যা! আর তারপরেই উড়িষ্যার অধিপতি জগন্নাথ দেবের মন্দিরে চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম। আর এতেই খুশির হাওয়া ভক্তদের মধ্যে।সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অযোধ্যা এবং রাম মন্দিরকে প্রধান ইস্যু করলেও খোদ উত্তরপ্রদেশে গো-বলয়েই গো-হারা হেরেছে বিজেপি! এমনকি অযোধ্যাতেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে।

সেখানে হিসেব উল্টে বিজেপির তরী এই যাত্রায় পার করে দিয়েছে বঙ্গোপসাগরপাড়ের রাজ্য উড়িষ্যা। লোকসভায় ১৯ সীটের ব্যাপক জয় সহ বিধানসভাও দখলে এসেছে বিজেপির। এমনকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখেও এখন জয় শ্রী রামের বদলে, জয় জগন্নাথ ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়েই পুরীর মন্দির নিয়ে বড়সড় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহন চরণ মাঝির সরকার। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে আর একটি মাত্র পথ দিয়ে প্রবল ভিড়ের মধ্যে ঠাসাঠাসি করে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে না দর্শনার্থীদের। খুলে দেওয়া হচ্ছে মন্দিরে প্রবেশের চারটি দরজাই। 

   

পূর্বতন বিজেডি সরকারের আমলে করোনা মহামারীর সময় থেকে যার মধ্যে তিনটি দরজা সেই যে বন্ধ হয়েছিল, অবশেষে আজ প্রায় ৪ বছর পর আবারও জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সেগুলি। আসন্ন স্নানযাত্রা এবং রথযাত্রায় বিপুল জনসমাগমকে সামাল দিতে যে সিদ্ধান্ত অনেকটাই কার্যকরী হতে পারে বলে মনে করছে মন্দির প্রশাসন। শুধু তাই নয় উৎকল অধিপতি জগন্নাথদেবের বেলেপাথরে তৈরি এই সুপ্রাচীন মন্দির সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য ৫০০ কোটি টাকার এক বিশেষ তহবিল গঠন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন উড়িষ্যার নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। যে ঘোষণায় খুশির হাওয়া পুরীর মন্দিরের পুজারি এবং দইতাপতিদের মধ্যে। 

রাজনৈতিক মহলের মতে উড়িষ্যার জনতার মন জয় করতে হলে আগে জগন্নাথ দেবের ভক্তদের মন জয় করাটা খুবই জরুরি! আর তাই প্রথম বার ক্ষমতায় আসা বিজেপি সরকার জগন্নাথ মন্দিরের উন্নয়নে কোন খামতি রাখবেন না। নবীন পট্টনায়ক যে ঘরানায় পুরী কে হাতে রেখেই টানা ২৪ বছর রাজ্যপাট চালিয়েছেন, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর জমানাতেও তার খুব এক হতে টা কোন পরিবর্তন না হয়ে, উল্টে রাজ্যের গণ্ডি ছেড়ে জাতীয় রাজনীতিতেও জগন্নাথ দেবের জয়যাত্রা শুরু হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।