বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রকাশ্যে অভিজিৎ বনাম তথাগত তরজা

abhijit-gangopadhyay-tathagata-roy-bjp-internal-conflict-bengal

কলকাতা: বঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে প্রত্যেকদিন একটু একটু করে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই মুহূর্তে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা প্রত্যেকদিনের রোজনামচা। এই উত্তেজনার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে দলের অভ্যন্তরের কোন্দলকে আরও একবার সকলের সামনে নিয়ে এসেছেন প্রাক্তন বিচারপতি এবং বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisements

এই প্রসঙ্গেই অভিজিৎকে কাউন্টার করে বিজেপির গৃহযুদ্ধে ঘৃতাহুতি দিয়েছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়ার দরকার সেই উদ্যোগের কিছুই তিনি দেখতে পাচ্ছেন না এবং এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এবং তিনি আরও বলেছেন যে হিন্দি বলয় থেকে রাজনৈতিক নেতা আনলে কখনই বাংলায় ক্ষমতায় আসা যাবে না।

   

EICMA 2025-এ Hero উন্মোচন করল ৪৪০ সিসি নতুন স্ক্র্যাম্বলার বাইক

বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় তার বক্তব্যকে খণ্ডন করে তার ফেইসবুক প্রোফাইল পোস্ট করেছেন “প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলি, অবাঙালি নেতা মানেই অযোগ্য নয় । আমি বাংলাভাষী ত্রিপুরায় রাজ্যপাল থাকাকালীন ২০১৮ সালে নেপথ্যে দাঁড়িয়ে দেখেছি, এক মহারাষ্ট্রীয়, সুনীল দেওধর, কি করে বিজেপিকে শূন্য থেকে ক্ষমতায় এনেছিলেন।”

Advertisements

তিনি আরও বলেছেন “তার পাশাপাশি এও দেখেছি, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে জেতা গেম কি করে হারিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা শয়তান কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দলবল এবং তার বুদ্ধিহীন বাঙালি চ্যালারা। শুধু বাংলার রাজনীতি না বোঝার জন্য নয়, অন্য এবং অত্যন্ত জঘন্য কারণে – যার নাম কামিনী-কাঞ্চন। তাই জিততে হলে যথাযথ লোককে দায়িত্ব দিতে হবে।” তথাগতের এই পোস্টে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রত্যেকেই অনুমান করছেন দুই বিজেপি শীর্ষ স্থানীয় নেতার মধ্যে এই ধরণের বাদানুবাদ নির্বাচনের আগে বিজেপির অশনি সংকেতে পরিণত হতে পারে। তবে নেটিজেনরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন যে তথাগত এই পোস্টে শুধু যে প্রাক্তন বিচারকের ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন তা নয় তার সঙ্গে যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রেখেছেন। আবার অনেকেই বলেছেন যে এই সময়ে দিলীপ ঘোষের মত নেতাকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে বিজেপি।

বিজেপির এই সিদ্ধান্ত তাদের নির্বাচনে পিছিয়ে দিতে পারে বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন। তবে তথাগতের পোস্ট দেখে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা মন্তব্য করেছেন যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী দল হলেও সংগঠন ভালো নয়। বিজেপিতে যোগ্য মুখের বড়ই অভাব এমনটাও দাবি করেছেন অনেকে। আবার অনেকে প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বলেছেন তথাগত এই ধরণের পোস্টের মাধ্যমে অভ্যন্তরীন কলহকে সামনে না এনে ব্যাক্তিগত লেভেলে মিটিয়ে নিয়েই পারতেন তাতে বাংলার মানুষের কাছে বিজেপির দুর্বলতা প্রকাশ পেত না।