নেশা করে বার নর্তকীর সঙ্গে অশ্লীল নাচ! চাকরি গেল পুলিশ কর্মীর

মধ্যপ্রদেশের দতিয়া জেলার সিভিল লাইনস থানায় কর্মরত এএসআই সঞ্জীব গৌড় এবং কনস্টেবল রাহুল বৌদ্ধ একটি বিতর্কিত ঘটনায় সাসপেন্ড হয়েছেন (Policeman Sacked)। গত ২ সেপ্টেম্বর কনস্টেবল…

Viral video of police Drunk

মধ্যপ্রদেশের দতিয়া জেলার সিভিল লাইনস থানায় কর্মরত এএসআই সঞ্জীব গৌড় এবং কনস্টেবল রাহুল বৌদ্ধ একটি বিতর্কিত ঘটনায় সাসপেন্ড হয়েছেন (Policeman Sacked)। গত ২ সেপ্টেম্বর কনস্টেবল রাহুল বৌদ্ধের জন্মদিন উপলক্ষে দতিয়ার একটি হোটেলে একটিন পার্টি চলছিল। এই পার্টিতেই তাঁরা দুইজন বার নর্তকীর সঙ্গে ‘অশ্লীল’ অঙ্গভঙ্গি করে নাচতে থাকেন। নাচের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এই ভিডিওতে এএসআই সঞ্জীব গৌড়কে বার নর্তকীদের সঙ্গে বলিউড গানের তালে নাচতে এবং অশোভন অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা গেছে। এই ঘটনার পর দতিয়ার পুলিশ সুপার সুরজ বর্মা তাৎক্ষণিকভাবে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন এবং ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

   

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ২ সেপ্টেম্বর দতিয়ার একটি হোটেলে কনস্টেবল রাহুল বৌদ্ধের জন্মদিনের পার্টিতে ধারণ করা হয়েছিল। ভিডিওতে দেখা গেছে, এএসআই সঞ্জীব গৌড় দুইজন বার নর্তকীর সঙ্গে বলিউড গান যেমন “পি লে পি লে ও মোরে রাজা” এবং “অপনো কো মনানা হ্যায় জরা দের লাগেগি” গানের তালে নাচছেন।

ভিডিওতে দেখা গেছে তিনি একজন নৃত্যশিল্পীকে জড়িয়ে ধরে এবং তুলে নিয়ে নাচছেন পার্টিতে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি আরেকজন নৃত্যশিল্পীকে মেঝেতে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। জানা গেছে, এই ভিডিওটি পার্টিতে উপস্থিত কিছু পুলিশ কর্মকর্তা মুঠোফোনে রেকর্ড করেন যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ বিভাগে হইচই পড়ে যায়। দতিয়ার পুলিশ সুপার সুরজ বর্মা বলেন, “পুলিশ বিভাগের ইমেজ ক্ষুণ্ন করে এমন কোনও কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না। এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Advertisements

তিনি এএসআই সঞ্জীব গৌড় এবং কনস্টেবল রাহুল বৌদ্ধকে তৎক্ষণাৎ সাসপেন্ড করেন। এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় এই ধরনের ঘটনা। এর আগে শিবপুরী জেলার ভাউন্টি থানায় কর্মরত একজন এএসআই একজন কুখ্যাত গ্যাংস্টারের সঙ্গে নাচের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সাসপেন্ড হয়েছিলেন।

দতিয়া জেলার পুলিশ বিভাগ ইতিপূর্বেও বিতর্কের মুখে পড়েছে। গত জুলাই মাসে গোন্দন থানায় কর্মরত এএসআই প্রমোদ পবন আত্মহত্যা করেন এবং তাঁর আত্মহত্যার আগে ধারণ করা ভিডিওতে তিনি সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বালি মাফিয়ার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন ও জাতিগত অপব্যবহারের অভিযোগ করেন।

চার বছরের চুক্তিতে লাল-হলুদ শিবিরে নাম লেখালেন গোয়ার ফুটবলার জয়

এএসআই সঞ্জীব গৌড় এবং কনস্টেবল রাহুল বৌদ্ধের সাসপেনশন দতিয়ার পুলিশ বিভাগের জন্য একটি গুরুতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদন্তের পর এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই ঘটনা জনগণের মধ্যে পুলিশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য দায়িত্বশীল আচরণের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।