Policeman: ছুটিতে কাটাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি পুলিশকর্মীর

কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫: এসেছিলেন পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে (Policeman)। ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। কলকাতা পুলিশের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই) শুক্রবার তার বাসভবনে ইনভার্টারের ব্যাটারি…

Policeman tragic death

কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫: এসেছিলেন পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে (Policeman)। ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। কলকাতা পুলিশের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই) শুক্রবার তার বাসভবনে ইনভার্টারের ব্যাটারি বদলানোর সময় ইলেকট্রিক শক খেয়ে মারা গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায়। জানা গিয়েছে পরিবার নিয়ে চুরি কাটাতে গিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এএসআই-এর নাম সৌম্য রায়, বয়স প্রায় ৪৫ বছর। তিনি কলকাতা পুলিশের টাউন ডিভিশনের সদস্য ছিলেন এবং পরিবারের সঙ্গে বলিয়ায় এসেছিলেন। এই দুর্ঘটনায় তার পরিবারের সদস্যরা শোকাহত, এবং কলকাতা পুলিশও এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে।ঘটনাটি ঠিক কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে বালিয়া পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

   

স্থানীয় সূত্র অনুসারে, শুক্রবার বিকেলবেলা সৌম্য রায় তার বাসভবনের ইনভার্টার রুমে গিয়ে ব্যাটারি রিপ্লেস করছিলেন। বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাজের সময় তার শরীর ইলেকট্রিক তারে লেগে যায়, ফলে তিনি শক খান। পরিবারের সদস্যরা তাকে তাড়াতাড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে যে ইনভার্টারের ওয়্যারিং-এ কোনো ফল্ট ছিল, যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এখনও আসেনি, কিন্তু প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে ধরা হচ্ছে।সৌম্য রায় কলকাতা পুলিশে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন। তিনি টাউন ডিভিশনের অধীনে কাজ করতেন এবং তার সহকর্মীরা তাকে খুবই বিশ্বস্ত এবং দক্ষ অফিসার বলে তার স্মৃতিচারণ করেছেন।

কলকাতা পুলিশের কমিশনার ভবেশ ভট্টাচার্যের নির্দেশে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যাওয়ার পরপরই একটি টিম বলিয়ায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা এই দুঃখজনক ঘটনায় শোক প্রকাশ করছি। সৌম্য রায় আমাদের পরিবারের একজন ছিলেন। তার পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।” কলকাতা পুলিশ তার সম্মানে শনিবার একটি শোকসভা আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে।

Advertisements

সৌম্য রায়ের পরিবারে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। তারা বালিয়ায় বসবাস করতেন, এবং সৌম্য নিয়মিত ছুটিতে সেখানে আসতেন।কলকাতা পুলিশের সহকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করছেন। একজন অফিসার লিখেছেন, “সৌম্য ভাইয়ের মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। তিনি সবসময় হাসিমুখে কাজ করতেন।”

পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু পুলিশ কর্মীর

এই ঘটনা পুলিশ ফোর্সের মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে। বলিয়া পুলিশ তার মৃত্যুর পরিবারকে সান্ত্বনা জানিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সকলেরই বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাজে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।