মহিলার মৃতদেহ সৎকারে পুলিশের বাধা, উদ্ধার অর্ধদগ্ধ দেহ!

জয়পুর: রাজস্থানের দীগ জেলার খোহ থানা এলাকার কাকরা গ্রামে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড (Murder) পুরো এলাকাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকদের গণপ্রহারে সরলা…

জয়পুর: রাজস্থানের দীগ জেলার খোহ থানা এলাকার কাকরা গ্রামে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড (Murder) পুরো এলাকাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকদের গণপ্রহারে সরলা নামক এক মহিলার মৃত্যু হয়। কাউকে কিছু না জানিয়ে বৌমার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে দেখিয়ে দেহ সৎকারে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোক। কিন্তু সরলাকে যে খুন করা হয়েছে খোহ থানায় সেই খবর পৌঁছে দেন এক গ্রামবাসী।

খুনিদের আটক করতে পুলিশ কাকরা গ্রামে পৌঁছলে পুলিশের (Police) উপর চড়াও হয় সরলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন সহ গ্রামবাসীরা। কোনোক্রমে সরলার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খোহ থানার স্টেশন অফিসার মহেন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে। সরলাকে তার স্বামী, তিন ভাই, বাবা এবং মা নির্মমভাবে মারধর করেছেন। মারধর এতটাই নির্মম ছিল যে সরলা ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরপর কয়েকজন গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সরলার দেহ সৎকারের (Funeral) জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।

   

খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী শ্মশানে পৌঁছলে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন সহ গ্রামবাসীরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধ্বস্তাধস্তি বেঁধে যায়। ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে উন্মত্ত গ্রামবাসী। এরপর সরলার কোনোক্রমে সরলার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনায় মৃতার স্বামী সহ তাঁর তিন ভাই এবং মা-বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি হামলাকারীরা গ্রাম থেকে ফেরার হয়ে যায়।

Advertisements

তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি রাজস্থানে পুলিশের উপর হামলার একাধিক খবর সামনে উঠে আসছে। এপ্রিল মাসে সীকর জেলার অজিতগড়ে পুলিশের উপর হামলা হয়। একটি বিয়েবাড়িতে অপরাধীকে আটক করতে গেলে আমন্ত্রিত অতিথিরা পুলিশকে ঘেরাও করে মারধোর করে বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে খবর।