পাটনা: নির্বাচন-আবহে ফের বিহারে পৌঁছে গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার আরারিয়া জেলায় আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির “উদ্দেশ্য”-ও জানালেন তিনি। এদিন জেলার দলীয় কর্মীদের বৈঠকে শাহ বলেন, “বিহার নির্বাচনে বিজেপির (BJP) আসল উদ্দেশ্যই হল অনুপ্রবেশকারীদের পৃথক করা।”
সেইসঙ্গে “লালুর লক্ষ্য কেবলমাত্র তেজস্বীকে বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা”, বলে আরজেডির (RJD) বিরুদ্ধেও তোপ দাগলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি, কেন্দ্র এবং বিহারে ক্ষমতায় থাকাকালীন আরজেডি-কংগ্রেস কেবল মানুষকে লুটেছে বলেও অভিযোগ করেন শাহ। তিনি বলেন, “লালু অ্যান্ড কোম্পানি” বিহারকে লুট করেছে, ১২ লক্ষ কোটি টাকার একাধিক স্ক্যাম এবং জালিয়াতি করেছে। কিন্তু মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গত ১১ বছরে একটিও দুর্নীতির উদাহরণ দেখাতে পারবে না বিরোধীরা বলে দাবি করেন অমিত শাহ।
“অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার অধিকার দিতে চায় লালু অ্যান্ড কোম্পানি”
বিহারে বিজেপির নির্বাচনী প্রচার এবং উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি, অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিরোধীদের এদিনও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, “লালু অ্যান্ড কোম্পানি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার অধিকার পাইয়ে দিতে চায়। কিন্তু বিজেপি এক এক করে সব অনুপ্রবেশকারীদের দেশের বাইরে ছুঁড়ে ফেলবে”।
বিহারে অনুপ্রবেশকারীদের (Infiltrators) ভোটার তালিকা থেকে নির্বাচন কমিশন বাদ দিচ্ছে বলেই ভোটার অধিকার যাত্রা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু “রাহুল বাবা, শুনে রাখো, তুমি বিহার বা বিহারের বাইরে যেখানেই অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করো না কেন, বিজেপি তাঁদের এক এক করে দেশের বাইরে ছুঁড়ে ফেলবেই”, বলে তোপ দাগেন শাহ।
ভোট চুরি এবং নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাহুল গান্ধী
উল্লেখ্য, আগস্ট মাসেই বিহারে এসআইআর এবং ভোট চুরির বিরুদ্ধে ভোটার অধিকার যাত্রা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। মূলত নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপিকে নিশানা করে তাঁর অভিযোগ ছিল, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) মাধ্যমে বিহারের মানুষের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির নির্দেশেই নির্বাচন কমিশন ‘হাতের পুতুলের’ মত এই কাজ করছে। এটা গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত বলে সরব হয়েছিলেন রাহুল। পাশাপাশি, বিজেপির একাধিক নির্বাচনে “ভোট-চুরি” প্রমাণ হিসেবে নথির ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন রাহুল।