পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিদ্রোহী ও দলবদলকারী নেতাদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির রাজ্য নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মোদী স্পষ্ট জানান, ভোটের মুখে যাঁরা দল ছেড়ে অন্যত্র যান এবং পরে ফিরে আসেন, তাঁদের কারণে দলের ভিত নড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের সময় অনেকে অন্য দলে চলে যান, আবার ভোট মিটলে ফিরে আসেন। এতে দলের প্রতি সৎ ও পরিশ্রমী কর্মীদের গুরুত্ব কমে যায়৷” তিনি দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দলে সম্মান ও স্বীকৃতি একদিনে আসে না। ধৈর্যই একজন নেতার সবচেয়ে বড় পুঁজি।”

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর গল্প পৌঁছে দিন ঘরে ঘরে

প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে। পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল। মোদীর কথায়, “এই অভিযান শুধু জবাব ছিল না, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী মুখোশকে গোটা বিশ্বের সামনে উন্মোচিত করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “মানুষকে জানান কীভাবে আমরা পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়েছি। এই বার্তা প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছাতেই হবে।”

বংশানুক্রমিক রাজনীতিতে নেই ছাড় PMs stark message to paltu rams

বিজেপির প্রার্থী নির্বাচনে পরিবারতন্ত্র ও প্রভাব খাটানোর প্রবণতার বিরোধিতা করেন মোদী। বলেন, “রাজনীতিতে জমিদারি চলতে পারে না। আপনি না পেলে আপনার ছেলে— এই মানসিকতা বন্ধ হওয়া উচিত। যোগ্যতার ভিত্তিতেই টিকিট দেওয়া হবে।”

টিকিট পেতে হলে চাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়তা

বর্তমান যুগে ডিজিটাল যোগাযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে কেউ বিজেপির টিকিট পেতে চাইছেন, তাঁর অন্তত ৫০,০০০ সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার থাকা উচিত। সংগঠনের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল উপস্থিতিও এখন অপরিহার্য।”

“বুথ জিতলেই বিহার জিতবে”

বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার ওপরও বিশেষ জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “প্রত্যেক কর্মীই দলের সম্পদ। বুথ মজবুত হলে, জয় আসবেই। মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে, তাঁদের আস্থা অর্জন করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।”

নীতীশকে ঘিরেই বিজেপির রণকৌশল

এইবারের নির্বাচনে বিজেপি ও জেডিইউ যৌথভাবে লড়ছে আরজেডি-কংগ্রেস-বাম জোটের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, যিনি রাজনৈতিক ঘরবদলের জন্য ‘পল্টু রাম’ নামে পরিচিত, তবু কুরমি ভোটব্যাংকে তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে নবমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নীতীশ, এনডিএ-তে ফিরে এসে। এই বৈঠক থেকেই কার্যত বিহার ভোটের প্রস্তুতির সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সংগঠনের শৃঙ্খলা, আত্মবিশ্বাস এবং জনসংযোগ— এ তিনে ভর করেই বিজেপির নতুন রণনীতি সাজাচ্ছে দলীয় নেতৃত্ব।

Bharat: PM Modi’s stern message to Bihar BJP ahead of elections: prioritize loyalty, digital presence, and booth-level strength. He emphasizes ‘Operation Sindoor’ success, rejects dynastic politics, and highlights Nitish Kumar’s importance in the BJP-JDU alliance against the RJD-Congress-Left front.