কুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হওয়া ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ, মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত নির্দেশ

প্রতি বছর ভারতের মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Stampede) এক বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, যেখানে লাখ লাখ মানুষ পূণ্যস্নানের জন্য ত্রিবেণী সঙ্গমে জড়ো হন। কিন্তু…

PM Narendra Modi Worried About Maha Kumbh Stampede Situation, Called UP CM Yogi Adityanath Twice In A Hour

প্রতি বছর ভারতের মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Stampede) এক বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, যেখানে লাখ লাখ মানুষ পূণ্যস্নানের জন্য ত্রিবেণী সঙ্গমে জড়ো হন। কিন্তু এবারের মৌনি অমাবস্যার পূণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে ঘটে যায় এক মারাত্মক বিপত্তি। ভয়াবহ ভিড়ের কারণে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে, যেখানে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি বারবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং পুরো পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেন।

মহাকুম্ভ মেলার (Maha Kumbh Stampede) এদিনের পূণ্যস্নান উপলক্ষে, কোটি কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করতে পৌঁছান। ভোরবেলা থেকেই ছিল ভক্তদের বিশাল জমায়েত। ভিড়ের কারণে ব্যারিকেড ভেঙে পড়তে শুরু করে, আর তারপরই হুড়োহুড়ির মধ্যে পুণ্যার্থীরা একে অপরের উপর পড়ে যান। এই চাপের ফলে পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভিড়ের মধ্যে শ্বাস নিতে পারছিলেন না অনেকেই, এবং আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হয়।

   

ঘটনার খবর পেতেই, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ ছিল প্রবল। তিনি সকালবেলা একের পর এক ফোন করেন যোগী আদিত্যনাথকে, পরিস্থিতি জানার জন্য। প্রধানমন্ত্রী মোদী একাধিকবার ফোন করে উদ্ধারকাজের আপডেট নিতে থাকেন এবং কেন্দ্রের তরফ থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

এছাড়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাও যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন তারা।

কুম্ভ মেলা কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, কারণ এত বিপুল সংখ্যক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ কাজ নয়। এই ধরনের বিপত্তি মোকাবেলা করতে প্রশাসন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন ছিল। তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তার মন্ত্রীরা পুরো বিষয়টি সজাগভাবে মনিটর করছেন এবং নিশ্চিত করছেন যে, কোন প্রকারের মানবিক বিপর্যয় যেন না ঘটে।

অন্যদিকে, মহাকুম্ভ মেলার আয়োজকদের পক্ষ থেকেও এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হয়েছেন। পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরবর্তী সময়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই ধরনের ঘটনার পর, ভবিষ্যতে আরও উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কুম্ভ মেলা যেন নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হতে পারে, সে বিষয়ে প্রশাসনের নতুন পদক্ষেপগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।