সেন্ট্রাল ভিস্তার নতুন মাইলফলক কর্তব্য ভবন উদ্বোধন মোদীর

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) আগামী বুধবার, অর্থাৎ ৬ আগস্ট উদ্বোধন করতে চলেছেন ‘কর্তব্য ভবন’ বা ‘সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং-৩’। এটি ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ রিডেভেলপমেন্ট…

সেন্ট্রাল ভিস্তার নতুন মাইলফলক কর্তব্য ভবন উদ্বোধন মোদীর

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) আগামী বুধবার, অর্থাৎ ৬ আগস্ট উদ্বোধন করতে চলেছেন ‘কর্তব্য ভবন’ বা ‘সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং-৩’। এটি ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অধীনে নির্মিত প্রথম ভবন যা ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় প্রস্তুত হয়েছে। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বপ্নের এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিল ভারতের রাজধানীর প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলিকে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব রূপে গড়ে তোলা।

সেন্ট্রাল ভিস্তার অংশ হিসাবে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে নতুন সংসদ ভবন, যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের জন্য অধিবেশন আয়োজন করেছে। পাশাপাশি রাজপথ-এর পরিবর্তিত রূপ ‘কর্তব্যপথ’ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। উপরন্তু, উপরাষ্ট্রপতির বাসভবনও ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে।

   

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ‘সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং ৩’ বা ‘কর্তব্য ভবন’ শুধুমাত্র প্রশাসনিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এর পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্যও অনন্য। এই ভবনে ৩০% পর্যন্ত শক্তি সাশ্রয় হবে বলে দাবি করা হয়েছে। বিশেষ কাঁচের জানালা ব্যবহৃত হয়েছে যা গ্রীষ্মে ভিতরে ঠান্ডা রাখবে এবং বাইরের শব্দ দূর করবে। ভবনের মধ্যে ব্যবহৃত হয়েছে এলইডি আলো, স্বয়ংক্রিয় সেন্সর, স্মার্ট লিফট এবং উন্নত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি, যা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয় নিশ্চিত করবে।

কার্তব্য ভবনের ছাদে বসানো হয়েছে সৌর প্যানেল, যা প্রতি বছর ৫.৩৪ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এছাড়াও, সৌর জলের হিটার দৈনন্দিন প্রয়োজনের প্রায় ২৫% গরম জলের যোগান দেবে। ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশনও এই ভবনে রাখা হয়েছে।

Advertisements

সরকারি রিপোর্ট অনুসারে, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের ৮৮% কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। CCS-1 এবং CCS-2 এর কাজও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে CCS-10 ভবনের বর্তমানে ২৮% কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং তা ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শেষ হওয়ার কথা। অন্যদিকে, CCS-6 ও CCS-7 ভবনের মাত্র ১% কাজ সম্পন্ন হয়েছে, এবং সেগুলির কাজ শেষ হবে অক্টোবর ২০২৬-এর মধ্যে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্যোগে এই প্রকল্প শুধুমাত্র প্রশাসনিক অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, বরং ভারতের নতুন স্থাপত্যিক পরিচয় নির্মাণের প্রয়াস। একদিকে ঔপনিবেশিক আমলের স্থাপত্য থেকে সরে এসে আধুনিক ও টেকসই স্থাপনার পথে এগোনো, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

এই ‘কর্তব্য ভবন’-এর উদ্বোধন কেন্দ্রীয় প্রশাসনের আধুনিকীকরণের পথে আরও এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ৬ আগস্ট উদ্বোধনের পরে এই ভবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কাজকর্ম স্থানান্তর করা হবে বলে সূত্রের খবর।