লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) খারাপ ফল করেছিল এনডিএ। অন্যদিকে তাক লাগানো রেজাল্ট করে সবাইকে চমকে দিয়েছিল ইন্ডি জোট। আর কয়েক মাস বাদেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। সে-রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া এনডিএ। পাল্টা মসনদ দখলে কোমর বেঁধে নামছে ইন্ডিয়া। আর তাই মহারাষ্ট্র নিয়ে চিন্তিত খোদ নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সকালে মহারাষ্ট্রের এনডিএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মোদী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও কথা বলেন বিভিন্ন শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, পীযূষ গয়াল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শরিক দলের শীর্ষ নেতারা। সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান মোদী। এছাড়াও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কী হবে তাদের পরিকল্পনা, তা নিয়েও আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবারই মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ৯০টি আসন দাবি করেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির অজিত। একই সঙ্গে ওই বৈঠকে দ্রুত আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করার অনুরোধ করেন অজিত পাওয়ার। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে যে টানাপোড়েন হয়েছিল, বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তা হোক, এটা চান না অজিত।
‘খনিজ সম্পদের উপর স্বত্ব কর নয়’, কেন্দ্রের যুক্তি উ়ড়িয়ে রাজ্যগুলোর ‘সুপ্রিম’ জয়
মহারাষ্ট্রে ৪৮টি লোকসভা আসন রয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ২৮টি আসনে লড়েও মাত্র দুটি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। ২০১৯ সালে গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে গিয়েছিল ২৩টি আসন। অন্যদিকে পাওয়ারের এনসিপি মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করে। শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী তাক লাগানো ফল করে আটটি আসন নিজেদের দখলে নেয়।
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২৮৮ টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি এবার ১৬০ থেকে ১৭০টি আসন দাবি করতে পারে বলে খবর। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ১০০টি আসনে লড়ার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। অজিত পাওয়ারও ৯০ টি আসন চান। ফলে আসন সমঝোতা নিয়ে ফের মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর ঠিক কবে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়, সেদিকেই তাকিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যের জমি অধিগ্রহণে অনীহা, বাংলায় রেল প্রকল্পে ঢিলেমির কারণ: রেলমন্ত্রী