মহারাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব দুই হাজার কিলোমিটার। পৃথক রাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের পনভেল থেকে যেন বার্তা দিলেন পদ্মা নদীর দেশকে।
এদিন পনভেলের ইসকন মন্দিরের যান মোদী (PM Modi ISKCON visit)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসকন মন্দিরের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে ইসকনের কর্মকাণ্ড বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার এবং সংস্কৃতির সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
তাঁর মতে, “ইসকনের মতো সংগঠন আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং মূল্যবোধের সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। ধর্মীয় ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধের প্রসারে এরা অনন্য ভূমিকা পালন করছে।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ফেসবুক পোস্টে ইসকন মন্দিরে তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, “ইসকনের আদর্শের মাধ্যমে আমরা শান্তি এবং ভ্রাতৃত্বের এক নতুন অধ্যায় রচনা করতে পারি। এই মন্দিরে এসে আমি সত্যিই নিজেকে ধন্য মনে করছি।”
ভোট প্রচারে গিয়ে মোদীর ইসকন সফর নিয়ে চড়ছে কূটনীতির পারদ। অগাস্ট থেকে বাংলাদেশ উত্তাল। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের একাংশের রোষের মুখে ইসকন। সরাসরি তাঁদের দাবি, বাংলাদেশের ইসকন ভারতের চড়। ইসকন নিষিদ্ধ করারও দাবি উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে মোদীর ইসকনের মন্দির দর্শন আদতে বাংলাদেশকে বার্তা।