এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, উদ্বোধন করবেন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র

আগামী মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার পার্লামেন্টে এই ঘোষণা করেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ। তিনি জানান, আগামী মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কা…

PM Narendra Modi Explains the Factors Leading to the Gujarat Violence of 2002

short-samachar

আগামী মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার পার্লামেন্টে এই ঘোষণা করেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী বিজিথা হেরাথ। তিনি জানান, আগামী মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বছর রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা দিসানায়েকের ভারত সফরের সময় যে চুক্তি হয়েছিল তা চূড়ান্ত করার জন্য এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে অনেক নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং সামপুর সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টও উদ্বোধন করা হবে। ২০১৫ সালের পর এটি হবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর চতুর্থ শ্রীলঙ্কা সফর।

   

শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন
সংসদে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে বিতর্ক চলাকালে এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী হেরাথ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। হেরাথ বলেন যে শ্রীলঙ্কার প্রথম কূটনৈতিক সফর ছিল ভারতে, যেখানে অনেক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমরা আমাদের প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। আমাদের প্রথম কূটনৈতিক সফর ছিল ভারতে, যেখানে আমরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তিতে পৌঁছেছি।

নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
সামপুর সোলার পাওয়ার স্টেশনের উদ্বোধন ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরে অনেকগুলি নতুন মৌ (MoU) স্বাক্ষরিত হবে। এই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পূর্ব ত্রিনকোমালি জেলার সামপুর শহরে 135 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এটি শ্রীলঙ্কার সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (সিইবি) এবং ভারতের এনটিপিসি যৌথভাবে নির্মাণ করছে। এই চুক্তিটি 2023 সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

ভারতের প্রতি সদিচ্ছা নীতি থেকে শ্রীলঙ্কা অনেক সুবিধা পায়- হেরাথ

হেরাথ বলেন, ভারতের প্রতি এনপিপি সরকারের সদিচ্ছা নীতি শ্রীলঙ্কার জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে। শ্রীলঙ্কায় অনেক ভারতীয় প্রকল্প চলছে। বিদেশমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেছেন যে শ্রীলঙ্কা তার বিদেশ নীতিতে নিরপেক্ষ থাকবে। কোনো পক্ষকে সমর্থন করবে না। জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখে কাজ করবে। এই সফর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বাড়তে থাকা সম্পর্কের প্রতীক। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সহযোগিতা ক্রমাগত জোরদার হচ্ছে।