Nyoma Airfield: পূর্ব লাদাখের নায়োমায় অবস্থিত ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই বিমানঘাঁটিটি শীঘ্রই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) থেকে মাত্র 30 কিলোমিটার এবং লেহ থেকে প্রায় 200 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর উৎক্ষেপণের মাধ্যমে, ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি বড় কৌশলগত শক্তি অর্জন করতে চলেছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫ সালের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পূর্ব লাদাখে নির্মিত নায়োমা বিমানঘাঁটির (Nyoma Airfield) উদ্বোধন করবেন।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, এই বিমানঘাঁটিটি হবে দেশের সর্বোচ্চ এবং বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি। সীমান্ত সড়ক সংস্থা (বিআরও) তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি তৈরি করেছে।
এই রানওয়েতে সবচেয়ে ভারী সামরিক বিমান, ফিক্সড উইং, রোটারি উইং, যুদ্ধবিমান এবং পরিবহন বিমান অবতরণ করতে পারবে।
কেন নায়োমা বিমানঘাঁটি বিশেষ?
নায়োমা বিমানঘাঁটি সকল ধরণের যুদ্ধবিমান এবং ভারী পরিবহন বিমান পরিচালনা করতে সক্ষম। এখান থেকে C-17 Globemaster III, Su-30 MKI এর মতো বিমান এবং Chinook এবং Apache এর মতো হেলিকপ্টারগুলি সহজেই পরিচালনা করা যেতে পারে। এর ফলে প্রয়োজনে সীমান্ত এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা সম্ভব হবে।
সূত্রের খবর, নায়োমা বিমানঘাঁটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য একটি প্রধান লজিস্টিক এবং কারিগরি কেন্দ্র হিসেবে প্রমাণিত হবে। এর মাধ্যমে ভারত সীমান্তে দ্রুত এবং অবিচ্ছিন্ন সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো AN-32 বিমান
১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের পর কয়েক দশক ধরে নিওমা বিমানঘাঁটি বন্ধ ছিল। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো AN-32 বিমান এখানে অবতরণ করে। ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধের সময়, বিমান বাহিনী এই বিমানঘাঁটি থেকে C-130J এবং AN-32 এর মতো বিমান এবং অ্যাপাচি এবং চিনুক হেলিকপ্টার পরিচালনা করেছিল।
নায়োমা বিমানঘাঁটি কেবল সেনাবাহিনীর চাহিদাই পূরণ করবে না বরং স্থানীয় জনগণের জন্যও একটি বড় স্বস্তি হবে। ডেমচক সেক্টর এবং কাছাকাছি প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবেশ সহজ হবে।
নায়োমা বিমানঘাঁটি একটি যুগান্তকারী প্রকল্প হিসেবে প্রমাণিত হবে
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই বিমানঘাঁটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ২১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পটি ২০২১ সালে অনুমোদিত হয়েছিল। সেই সময় রাজনাথ সিং এটিকে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি গেম-চেঞ্জার বলে অভিহিত করেছিলেন। নায়োমা বিমানঘাঁটি চালু হওয়ার পর, ফুকাচে এবং দৌলত বেগ ওল্ডির মতো ছোট উন্নত ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডের ক্ষমতাও জোরদার হবে।