দেশসেবায় বহু সুযোগ পেয়েছেন, ধনখড়কে মোদীর শ্রদ্ধা, সুস্বাস্থ্য কামনা

নয়াদিল্লি: ভারতের উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে জগদীপ ধনখড়ের হঠাৎ ইস্তফা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আলোড়ন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ইতিমধ্যেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে…

PM Modi praises Dhankhar

নয়াদিল্লি: ভারতের উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে জগদীপ ধনখড়ের হঠাৎ ইস্তফা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আলোড়ন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ইতিমধ্যেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে সেই অনুমোদন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

৭৪ বছর বয়সী ধনখড় সোমবার সন্ধ্যায় ইস্তফা দেন। চিঠিতে তিনি লেখেন, “স্বাস্থ্য পরিচর্যাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতেই পদত্যাগ করছি। ভারতের সংবিধানের ৬৭(এ) ধারা অনুসারে তাৎক্ষণিকভাবে উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।”

   

এই ঘোষণার পর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ ধনখড়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন (PM Modi praises Dhankhar)। তিনি লেখেন, “শ্রী জগদীপ ধনখড়জী বিভিন্ন দায়িত্বে থেকে দেশের সেবা করার বহু সুযোগ পেয়েছেন, বিশেষ করে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করি।”

ধনখড় ২০২২ সালের অগস্টে উপরাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ ছিল ২০২৭ সাল পর্যন্ত। সোমবার ছিল সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন। সেই অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে অধিবেশন চালানোর পর সন্ধ্যায় ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। তবে পরদিন, মঙ্গলবার, রাজ্যসভা পরিচালনা করেন উপসভাপতি হরিবংশ।

ধনখড় কিছুদিন আগেই দিল্লির এইমস-এ অ্যানজিওপ্লাস্টি করিয়েছিলেন এবং মার্চে কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যদিও সাম্প্রতিক প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে যথেষ্ট প্রাণবন্ত ও সক্রিয় ভাবেই দেখা গেছে। সে কারণেই তাঁর আকস্মিক পদত্যাগ ঘিরে বিরোধী শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে।

কংগ্রেসের ইঙ্গিত: ‘এর পেছনে গভীর কারণ আছে’

Advertisements

ধনখড়ের পদত্যাগ নিয়ে সবচেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়ারাম রমেশ বলেন, “ধনখড়জীর পদত্যাগ অবশ্যই অপ্রত্যাশিত। তিনি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়েছেন, তা শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু এটা বলতেই হবে, এর পেছনে আরও গভীর কারণ রয়েছে।”

এছাড়াও কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আহ্বান জানানো হয়, তিনি যেন ধনখড়কে তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করেন।

উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে ধনখড়ের কার্যকালের মধ্যে একাধিকবার বিরোধীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। এমনকি তাঁকে অপসারণের জন্য রাজ্যসভায় একটি অভিশংসন প্রস্তাবও আনা হয়েছিল, যা পরে উপসভাপতি হরিবংশ খারিজ করে দেন।