সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের (Md.Yunus) সঙ্গে বৈঠকে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ব্যাঙ্ককে বিমস্টেক সামিটের সাইড লাইন বৈঠক হওয়ার কথা দুই নেতার। গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার বৈঠকের কথা থাকলেও সময়ের অভাবে তা হয়নি।
স্কুল পাশ করেই সরকারি চাকরি, পুজোর প্রাক্কালে বড় সুযোগ ভারতীয় রেলের
ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুই নেতার বৈঠক কবে হবে, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছিলই। তবে নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর ও তৌহিদ হোসেনের বৈঠকই দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের বিষয় অনেকটাই আলোচনা হয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাশাপাশি ভারতকে ছাড়া দেশে খাদ্য সংকট মোকাবিলা বাংলাদেশের পক্ষে সহজ নয়, সেই বিষয়টিও মাথায় রয়েছে ঢাকার। সম্প্রতি সেদেশের খাদ্যে পণ্যের অভাবে ট্রেনে করে কয়েক টন খাদ্যপণ্য পাঠিয়েছে ভারত।
পুজোর আগে নিম্নচাপ, মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে জারি নিষেধাজ্ঞা
হাসিনা সরকারের পতনের পর সেদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে একাধিক বিনিয়োগে পিছিয়ে এসেছে ভারত। ফলে গারমেন্টস শিল্প থেকে অনেক শিল্পক্ষেত্রেই ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। ভারত থেকে রফতানি করা বিদ্যুতের সমস্যার জেরে ধাক্কা খেয়েছে সেদেশের গারমেন্টস সেক্টর। বিনিয়োগের বাড়ছে অস্থিরতাও। সুতরাং সার্বিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী ভারতকে অস্বীকার করার উপায় নেই বাংলাদেশের। সেই কথা বুঝতে পেরেই হয়তো প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
চার্জার দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা ! উত্তরপ্রদেশে ডেলিভারি বয় মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
তবে ভারত সরকারের একাংশ মনে করছে বাংলাদেশের বাস্তবতা মেনে ইউনুস সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা দরকার। বিশেষ করে ভারতীয় সংস্থাগুলির বানিজ্যিক স্বার্থ ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনার মধ্য দিয়েই চলতে হবে নয়াদিল্লিকে।