‘নেপালের শান্তি ও অগ্রগতি ভারতের অঙ্গীকার’: সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন মোদীর

নয়াদিল্লি: নেপালের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। টানা অস্থিরতা আর জনবিক্ষোভের পর অবশেষে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি শপথ নিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র…

নয়াদিল্লি: নেপালের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। টানা অস্থিরতা আর জনবিক্ষোভের পর অবশেষে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি শপথ নিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল শনিবার কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এভাবেই নেপালের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথমবার কোনো নারী দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন, যা একাধারে প্রতীকী ও তাৎপর্যময়।

কার্কিকে শুভেচ্ছা জানান মোদী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খবরটি পাওয়ার পরপরই সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য সুশীলা কার্কিকে শুভেচ্ছা জানাই। নেপালের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি অটল।” দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝিয়ে এই বার্তা যেন নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করল।

   

কার্কির ক্ষমতায় আসা নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং রাস্তায় নেমে আসা তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের ফসল। ‘জেন জেড’ নামে পরিচিত যুবসমাজ দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবিতে যে অগ্নিগর্ভ প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিল, তার পরিণতিতেই পদত্যাগ করেন কেপি শর্মা অলি। এরপর তরুণ নেতৃত্ব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ডিসকর্ড-এ সরাসরি ভোট আয়োজন করে কার্কির নাম প্রস্তাব করে। নেপালের রাজনীতিতে এ এক অভিনব অধ্যায়—যেখানে ডিজিটাল প্রজন্ম সরাসরি নেতা বেছে নিচ্ছে।

কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নেপালের সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নতুন নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা হয়েছে। তবে তার আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে থাকবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার বড় দায়িত্ব।

Advertisements

ভারত-নেপাল: অটুট সম্পর্কের নতুন বাঁক PM Modi congratulates Sushila Karki

ভারত ও নেপালের সম্পর্ক শুধু ভৌগোলিক সীমান্তে আটকে নেই; ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা-সব কিছুর সেতুবন্ধন এই দুই দেশকে বহু যুগ ধরে কাছাকাছি রেখেছে। ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের যাতায়াত প্রমাণ করে সম্পর্কের সেই গভীরতা। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী পাঁচবার নেপাল সফর করেছেন, অন্যদিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীরা দশবার ভারত সফরে গেছেন, যা প্রতিবেশী সম্পর্কের এক বিশেষ মাত্রা তৈরি করেছে।

আজ যখন সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নিলেন, তখন নেপালবাসীর চোখে ভরসা আর প্রত্যাশার ছাপ স্পষ্ট। তিনি শুধু প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নন, বরং এক রূপান্তরের প্রতীক, যেখানে জনতার দাবি, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠস্বর, সরাসরি রাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রস্থলে জায়গা করে নিয়েছে।

Bharat: Nepal makes history as Sushila Karki, former Chief Justice, becomes the country’s first-ever female interim Prime Minister. Sworn in after a youth-led protest movement, she is tasked with ensuring stability before the 2026 elections.