প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিহারের পূর্ণিয়ায় এক জমকালো অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা গ্রহণ করেন (Bihar Elections)। তিনি প্রায় ৩৬,০০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই প্রকল্পগুলি বিহারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
পূর্ণিয়া, বিহারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।প্রধানমন্ত্রী মোদী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিহারের জনগণের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পগুলি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণিয়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
এই উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে আধুনিক সড়ক নির্মাণ, রেল সংযোগ সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন। এছাড়াও, কৃষি ও শিল্প খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিহারের উন্নয়ন আমাদের সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার। পূর্ণিয়ার মতো অঞ্চলগুলিকে আমরা সমৃদ্ধির কেন্দ্রে পরিণত করতে চাই।
এই প্রকল্পগুলি স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।” তিনি আরও জানান, এই প্রকল্পগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল।পূর্ণিয়ার জনগণ এই সফরকে উৎসবের মতো উদযাপন করছেন । হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় ভিড় করেন।
স্থানীয় নেতারা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বলেন, এটি পূর্ণিয়ার উন্নয়নের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বিশেষ করে, নতুন রেল ও সড়ক প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের সংযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সহায়ক হবে।এই প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হল গ্রামীণ অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পূর্ণিয়ার প্রতিটি গ্রামে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও, স্বাস্থ্যসেবা খাতে নতুন হাসপাতাল ও ক্লিনিক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা স্থানীয় মানুষের জন্য মানসম্পন্ন চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করবে।স্থানীয় কৃষকদের জন্যও এই প্রকল্পগুলি আশার আলো জাগিয়েছে।
পাওয়ারগ্রিড কর্পোরেশন ১০০০ টিরও বেশি পদে নিয়োগ, শীঘ্রই আবেদন করুন
আধুনিক সেচ ব্যবস্থা এবং কৃষি প্রযুক্তির প্রসারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, যা তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে পূর্ণিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রশংসা করেন এবং বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি এই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হবে।