পাটনা: ৬ নভেম্বর প্রথম দফার ভোটগ্রহণে ৬৫.০৮%-এর ঐতিহাসিক ভোটার উপস্থিতি দেখেছে বিহার। যা থেকে ফলাফল নিয়ে মোটামুটি আন্দাজ করতে পারছেন রাজনীতিকরা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) ভোটগ্রহণ। তার আগে ফলাফল নিয়ে চাঞ্চল্যকর পূর্বাভাস দিলেন প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)।
রবিবার তিনি স্পষ্ট জানালেন, “নীতিশ কুমার যাচ্ছেন। বিপুল পরিমাণ ভোটার উপস্থিতি তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।” বর্তমানে বিহারের নির্বাচনী আকাশ কিছুটা ঘোলাটে হলেও জন সুরজ দলের (Jan Suraaj Party) প্রমুখ সেইসঙ্গে বলেন, “বিহারে ৬৫-৬৭% ভোট ক্ষমতার পক্ষে নয়।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “সঠিক অঙ্ক না করে এক্সিট পোল করা হাওয়ায় কথা বলার মত হবে”।
মহিলা ভোটারদের অংশগ্রহণে কি বললেন পিকে?
উল্লেখ্য, বিহারের নির্বাচনে অন্ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মহিলা ভোটার। সেইজন্যই শাসক থেকে বিরোধী নির্বাচনী প্রচারে মহিলা ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রচারও থাকে হাই ভোল্টেজ। প্রথম দফায় ১৮ টি জেলার ১২১ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে মহিলাদের অংশগ্রহণ দেখে পিকে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা, সাইকেল ও ইউনিফর্ম বিতরণের মত কাজের প্রভাব অবশ্যই আছে। তবে “মহিলারা তো প্রতিবারই ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এবার নিবন্ধন-পার্থক্যের জন্য তাদের অংশগ্রহণ বেশি মনে হচ্ছে”, বলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)।
NDA ও মহাগাঁঠবন্ধনকে তোপ
উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করে প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore) বলেন, “ওরা (BJP) বিহারের ভোট পায়। কিন্তু কারখানা তৈরির বেলায় গুজরাটে বানায়।” অন্যদিকে, মহাগাঁঠবন্ধনের বিরুদ্ধে পিকে বিহারের মানুষকে প্রশ্ন ছোঁড়েন, “আপনারা কি লালুর লন্ঠন চান? জঙ্গল রাজের লন্ঠন চান? যদি লালু, নীতিশ, মোদি কাউকেই ভোট না দেব, তাহলে বাকি থাকল কে?”
প্রসঙ্গত, নিজে নির্বাচনী ময়দানে না নামলেও প্রথমবার বিহারে পিকের (Prashant Kishore) জন সুরজ পার্টি এককভাবে ২০০-র বেশি আসনে বিধানসভা (Bihar Assembly Election) নির্বাচন লড়ছে। এর আগে প্রশান্ত কিশোর বলএছিলেন, বিহারের মানুষ লালুর ভয়ে নীতিশকে আর নীতিশের ভয়ে লালুকে ভোট দেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ এবং ফলাফল আগামী ১৪ নভেম্বর। বিহারের মানুষ কি এবার লালু-নীতিশ বাদে কোনও তৃতীয় কাউকে বেছে নেবেন? সময় তার উত্তর দেবে।
