পুজোর আগেই পাইপ লাইনে গ্যাস পৌঁছবে বাংলার রান্নাঘরে

বদলে যাচ্ছে সিস্টেম। আর সিলিন্ডার নয় এবার পাওয়া যাবে সরাসরি পাইপের গ্যাস (Piped Gas)। মানে পাইপলাইন দিয়ে সরাসরি বাড়িতে পৌঁছবে প্রাকৃতিক গ্যাস। বহু বছরের নিরলস…

Piped Gas in bengal

বদলে যাচ্ছে সিস্টেম। আর সিলিন্ডার নয় এবার পাওয়া যাবে সরাসরি পাইপের গ্যাস (Piped Gas)। মানে পাইপলাইন দিয়ে সরাসরি বাড়িতে পৌঁছবে প্রাকৃতিক গ্যাস। বহু বছরের নিরলস প্রচেষ্টা দিয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী সংস্থা গেইল। কলকাতা এবং বিভিন্ন জেলায় এবার পৌঁছে যাবে পাইপের গ্যাস।

বেঙ্গল গ্যাস, আদানি গ্যাস, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম এবং ভারত পেট্রোলিয়াম এই কাজের বরাত পেয়েছে। বেঙ্গল গ্যাসের কর্মকর্তাদের মারফত জানা গিয়েছে সম্ভবত পুজোর আগেই কল্যাণী পূর এলাকার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের লাইন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তা উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভা, নৈহাটী সহ বিস্তীর্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।

   

বেঙ্গল গ্যাসের কর্মকর্তাদের তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই কল্যাণীতে তৈরী হয়েছে মাদার গ্যাস স্টেশন। যেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে এই প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন সরবরাহ ব্যবস্থা ভারতের শহরাঞ্চলে ইতিমধ্যেই আগ্রহের কারণ হয়ে উঠেছে।

এবার পশ্চিমবঙ্গের গৃহস্থালিগুলোতেও এই আধুনিক ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। এই পদ্ধতিতে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরাসরি বাড়ির রান্নাঘরে প্রাকৃতিক গ্যাস পৌঁছবে, যা সিলিন্ডারের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং পরিবেশবান্ধব। প্রাকৃতিক গ্যাস দূষণ মুক্ত জ্বালানি হিসেবে পরিচিত, যা দূষণ কমায় এবং জ্বালানি খরচে সাশ্রয়ী।

এই উদ্যোগের ফলে গৃহস্থালির রান্নার অভিজ্ঞতা আরও সহজ এবং ঝামেলামুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা গ্রাহকদের জন্য একাধিক সুবিধা নিয়ে আসছে। প্রথমত, সিলিন্ডার বুকিং, ডেলিভারি এবং রিফিলের ঝক্কি থেকে মুক্তি মিলবে। দ্বিতীয়ত, এই ব্যবস্থায় গ্যাসের সরবরাহ অবিচ্ছিন্ন থাকবে, ফলে রান্নার কাজে কোনো বাধা পড়বে না।

Advertisements

তৃতীয়ত, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় গ্রাহকদের জ্বালানি খরচ কমবে। এছাড়া, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহে মিটার-ভিত্তিক বিলিং ব্যবস্থা থাকবে, যা গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ এবং সুবিধাজনক। সিএনজি এবং পিএনজি জ্বালানি যা এতদিন শিল্প ক্ষেত্রে কিংবা গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতো এখন তা ব্যবহার করা যাবে রান্নার জ্বালানি হিসেবেও।

প্রাকৃতিক গ্যাসের যোগান অক্ষুন্ন রাখতে ইতিমধ্যেই বেঙ্গল গ্যাস নিউ টাউনে একটি নতুন সিএনজি গ্যাস চেম্বার চালু করেছে এছাড়াও ব্যারাকপুর, শ্যামনগরের মত এলাকাগুলোতেও জমি নিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহের খাতিরে তৈরী হবে মাদার গ্যাস চেম্বার।

প্রশ্নের মুখে ভারতীয় পেসারের ভবিষ্যৎ! এশিয়া কাপের আগেই অবসর?

সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দূষণ মুক্ত জ্বালানি তৈরিতে এগিয়ে গেছে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। এবার শুধু শিল্পক্ষেত্রে নয় রান্নাঘরেও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে বাংলা তথা ভারতবর্ষ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।