পিনাকা রকেট-MR-SAM মিসাইল… সেনাবাহিনী পাবে এই অস্ত্র ব্যবস্থা 

Defence

নয়াদিল্লি, ২২ অক্টোবর: ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল (Defence Acquisition Council, DAC) ২৩ নভেম্বর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। এর সভাপতিত্ব করবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীর জন্য রকেট লঞ্চার, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর জন্য ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র (MR-SAM) এবং চারটি দেশীয় ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক (LPD) জাহাজের জন্য ৩৩,০০০ কোটি টাকার একটি বড় চুক্তি। (India’s Armed Forces)

Advertisements

প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানরাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এর আগে, প্রতিরক্ষা সচিব আর.কে. সিংয়ের সভাপতিত্বে প্রতিরক্ষা ক্রয় বোর্ড (ডিপিবি) এই সমস্ত চুক্তি অনুমোদন করেছিল। এই প্রকল্পগুলি আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের অধীনে দেশীয়ভাবে তৈরি অস্ত্র ব্যবস্থা।

MR-SAM ক্ষেপণাস্ত্র: ভারতীয় নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী উভয়ই ভারত ডায়নামিক্স দ্বারা নির্মিত MR-SAM (মাঝারি পাল্লার সারফেস টু এয়ার মিসাইল) পেতে চলেছে। ১০০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা শত্রুপক্ষের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম। উভয় সেনাবাহিনীই ৩০০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার (এমবিআরএল): ডিআরডিও দ্বারা তৈরি এবং প্রায় ৯০ কিলোমিটার পাল্লার পিনাকা রকেট সিস্টেমটি এখন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত। এই সভায় প্রায় ১,০০০ পিনাকা রকেট অনুমোদিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা যানবাহন: সেনাবাহিনী কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জামের জন্য বিশেষায়িত যানবাহনের অনুরোধ করেছে, যা এই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের সাথে সংঘর্ষে এই ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল।

Advertisements

ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক (LPD): সবচেয়ে বড় চুক্তিটি হল চারটি LPD জাহাজের জন্য, যার ওজন ২০,০০০ টনেরও বেশি—প্রায় একটি ছোট বিমানবাহী জাহাজের আকার। এগুলোর দাম হবে ₹৩৩,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত। এই চুক্তি দেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে একটি বড় ধরনের উৎসাহ যোগাবে।

এলপিডি জাহাজগুলি সাধারণত উভচর যুদ্ধের জন্য ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ সমুদ্র এবং স্থল উভয় ক্ষেত্রেই অভিযান চালানোর জন্য, তবে সরবরাহ জাহাজ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু এটি একটি বৃহৎ আর্থিক চুক্তি, তাই এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে (CCS) পাঠানো হবে।

DAC সভাটি প্রথমে ২৩শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নৌ কমান্ডারদের সম্মেলনও একই তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সভাই দীপাবলির পরে, ২৩শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের তিন সেনাবাহিনীকে সরবরাহ করা এই অস্ত্র ব্যবস্থাগুলি কেবল তাদের অগ্নিশক্তি এবং গতিশীলতা বৃদ্ধি করবে না, বরং দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদন শিল্পকে নতুন গতি দেবে। এটি স্বনির্ভর ভারতের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হবে।