গত মাসের ৪ তারিখ, হায়দ্রাবাদের সান্ধ্যা থিয়েটারে “পুষ্পা ২” ( Pushpa 2) ছবির প্রিমিয়ার চলাকালীন ঘটে এক মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনা, যার ফলে এক মহিলার মৃত্যু হয় এবং তার আট বছর বয়সী ছেলে এখনও কোমায় রয়েছেন। এই দুর্ঘটনাটি নিয়ে এখনো থমকে আছে হায়দ্রাবাদ সহ সারা দেশ। তবে, এই ঘটনার পর একটি বড় ধরনের বিক্ষোভ দেখানো হয় তেলেগু অভিনেতা আল্লু অর্জুনের (Allu Arjun) বাড়ির সামনে, যা বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছে।
অজানা রোগে কাঁপছে পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলি, হতবাক WHO
এই বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে ওই পদদলনে নিহত মহিলার পরিবার এবং স্থানীয় কিছু ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভের কারণে। প্রতিবাদকারীদের দাবি, সান্ধ্যা থিয়েটারের মতো বড় সিনেমা হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটা অগোছালো কেন, যে কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু ছাত্র, যারা নিজেদেরকে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেয়, তারা আল্লু অর্জুনের বাড়ির সামনে এসে প্রতিবাদ জানায়। তাদের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ ছিল না; তারা অভিনেতার বাড়িতে ঢুকে টমেটো ছুড়ে মারে এবং ফুলের টব ভেঙে দেয়।
প্রতিবাদকারীরা বলছেন, “পুষ্পা ২” ছবির প্রিমিয়ারের সময় প্রচুর দর্শক উপস্থিত ছিল, এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাদের মতে, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারা দাবি করেছেন, আল্লু অর্জুন, যিনি এই সিনেমার মুখ্য অভিনেতা, তার জনপ্রিয়তার সুবাদে সিনেমা মুক্তির সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর হতে পারতো।
প্রিয়াঙ্কার কাছে পরাজিত বিজেপির নব্যা ভোটের ফলাফলে সন্তুষ্ট নন, দ্বারস্থ আদালতের
এদিকে, অভিনেতা আল্লু অর্জুন এই ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন এবং দুর্ঘটনায় নিহত মহিলার পরিবারকে সহানুভূতি জানিয়েছেন। যদিও তিনি বিক্ষোভের সমর্থক নন, তারপরও তিনি বলেছেন যে নিরাপত্তার উন্নতি এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া।
হায়দ্রাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকেও এই ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে দর্শকদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করেনি, যার ফলে এই রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ এখন পদদলনকারীদের শনাক্ত করতে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কাজ করছে।
CPIM : দলের দ্বন্দ, সিপিএমের জেলা কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার সুজনের স্ত্রীর
এখন এই ঘটনার পর, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের প্রতি এক বড় চাপ সৃষ্টি হয়েছে যাতে তারা ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করে এবং এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করা যায়। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, শুধুমাত্র আল্লু অর্জুন বা সিনেমা শিল্পের ব্যক্তিত্বের উপর দোষ চাপানো নয়, বরং সিনেমা হলের নিরাপত্তা এবং দর্শকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত।
এই ঘটনার পর, শহরের সাধারণ জনগণও নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে। সারা দেশে সিনেমা হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে, এবং সবার কাছে একটাই বার্তা পৌঁছাচ্ছে—”নিরাপত্তা আগে, সিনেমা পর!”