News Desk: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে গত বছর এক ভয়াবহ দাঙ্গার সাক্ষী হয়েছিল দিল্লি। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ৫৪ জন মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। জখম হয়েছিলেন তিনশোরও বেশি মানুষ। রাজধানীর হিংসার ঘটনায় ফেসবুকও দায়ী বলে মনে করছে দিল্লি বিধানসভার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি।
ফেসবুকের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। এ বিষয়ে জানতে দিল্লি বিধানসভা ফেসবুক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা ভাইস-প্রেসিডেন্ট অজিত মোহনকে সমন পাঠিয়েছিল। দিল্লি বিধানসভার বিশেষ কমিটি ফেসবুককে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য ১৬ দিনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। অর্থাৎ ১৬ দিনের মধ্যে ফেসবুককে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ ও উসকানিমূলক। পোস্ট ছড়ানোর যে অভিযোগ উঠেছে তার জবাব দিতে হবে।
গত বছর যখন দিল্লিতে প্রবল দাঙ্গা ছড়িয়ে ছিল সে সময় ফেসবুকের বিরুদ্ধে হিংসা ও বিদ্বেষমূলক পোস্ট ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, ফেসবুককে এ বিষয়ে সতর্ক করার পরেও তারা কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি। গুরুতর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে লোকসভার সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকেও ফেসবুকে সমন পাঠানো হয়েছিল। একইসঙ্গে দিল্লি বিধানসভার বিশেষ শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি ও ফেসবুকে সমান পাঠায়।
বিধানসভা কমিটির প্রধান রাঘব চাড্ডা জানিয়েছেন, ফেসবুকের বিরুদ্ধে হিংসা ও উস্কানিমূলক মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল তার তদন্ত করছে বিধানসভা। তাই এ বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ১৬ দিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে। কারণ কমিটির মনে করছে দিল্লিতে দাঙ্গা ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুকও দায়ী। তাই এ বিষয়ে তাদের মতামত শোনার প্রয়োজন।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অবশ্য দিল্লি বিধানসভার এই সমন এড়িয়ে যায়। এমনকী, বিধানসভার বিশেষ কমিটির সামনে হাজিরা এড়াতে ফেসবুক সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানায়, দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তাই দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ভার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের আর্জির প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে কৈফিয়ৎ তলব করা হলে তা কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘন করা হবে। অন্যদিকে ফেসবুকের পাল্টা যুক্তি ছিল, তারা আগেই সংসদীয় কমিটির কাছে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছে। দিল্লির আইন-শৃংখলার বিষয়টি কেন্দ্রের একটি এক্তিয়ারভুক্ত। তাই বিধানসভা কমিটির কোনও অধিকার নেই তাদেরকে ডেকে পাঠানোর।