‘সংযোগ বিচ্ছিন্ন’ করার পর থেকে সীমান্তে শান্তি রয়েছে: নরেন্দ্র মোদী

নয়াদিল্লি: রবিবার প্রধানমন্ত্রীর চিন সফরের আবহে ২০২০-এর এপ্রিলে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আক্রমণের কথা স্মরণ করিয়ে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। বেলা গড়াতেই ইন্দো-চিন সীমান্ত নিয়ে বড়…

'সংযোগ বিচ্ছিন্ন' করার পর থেকে সীমান্তে শান্তি রয়েছে: নরেন্দ্র মোদী

নয়াদিল্লি: রবিবার প্রধানমন্ত্রীর চিন সফরের আবহে ২০২০-এর এপ্রিলে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আক্রমণের কথা স্মরণ করিয়ে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। বেলা গড়াতেই ইন্দো-চিন সীমান্ত নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। “সংযোগ বিচ্ছিন্ন’ করার পর সীমান্তে স্থিতাবস্তা এবং শান্তি বজায় আছে”, বলে উল্লেখ করলেন তিনি।

চিনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং (Xi Jinping) কে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “দ্বিপাক্ষিক ভরসা, সম্মান এবং সংবেদনশীলতার উপর ভিত্তি করে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে বদ্ধপরিকর ভারত”। সাংহাই কোঅপরেশন সামিটে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গত বছর কাজানে দীর্ঘ গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ককে ইতিবাচক মোড় দেয়।”

   

চিনা রাষ্ট্রপতির মুখেও একই কথা শোনা যায়। গত বছর ২৩ অক্টোবর কাজানে অনুষ্ঠিত BRICS সামিটে আলাপচারিতা হয় মোদী-জিনপিং এর। সেখানেই “ভারত-চিন সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং উন্নতির বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়” বলে উল্লেখ করেন চিনের রাষ্ট্রপতি। সেইসঙ্গে গত বছর ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের আগস্টে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই-এর আলোচনার কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, “আমাদের দূতরা বরাবর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়ে যোগাযোগে থেকেছে।”

Advertisements

উল্লেখ্য, বর্তমানে ইন্দো-চিন সীমান্তে এলএসিতে বর্তমানে প্রায় ৫০-৬০ হাজার সৈন্য মোতায়েন আছে। সেই পরিস্থিতিতে “সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে শান্তি রয়েছে” বলে মোদীর দাবি করাকে বাঁকা চোখেই দেখা হচ্ছে। লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন, ২০২০ সালের গালওয়ান হামলার পরেও মোদী সরকার চিনকে ‘ক্লিন চিট’ দিচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। “সেনাপ্রধানের তরফ থেকে লাদাখ-চিন সীমান্তের স্থিতাবস্তা সম্পূর্ণরূপে বহাল করার দাবি জানানো হওয়া সত্ত্বেও সীমান্তে চিনের উপদ্রবকে উপেক্ষা করে চিনের সঙ্গে পুনর্মিলনের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার”, বলে তোপ দাগেন তিনি।