অন্ধ্রের কর্ম সংস্থানে ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকার নিয়ে অকপট পবন কল্যাণ

অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ (pawan-kalyan) মঙ্গলবার রাজ্যে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ এবং এর কর্মসংস্থান ও জাতীয় নিরাপত্তার উপর প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “একটি…

pawan-kalyan backs local youth of andhra

অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ (pawan-kalyan) মঙ্গলবার রাজ্যে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ এবং এর কর্মসংস্থান ও জাতীয় নিরাপত্তার উপর প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “একটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ।

২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আমি বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছিলাম, বিশেষ করে স্বর্ণকার সম্প্রদায়ের কাছ থেকে, যে বাংলা থেকে আগত কিছু ব্যক্তি অন্ধ্রপ্রদেশে এসে কর্মসংস্থান দখল করছে। এই বিশ্বাস রয়েছে যে এদের অনেকেই মায়ানমার থেকে এসেছেন।”

   

পবন কল্যাণ জোর দিয়ে বলেন (pawan-kalyan)

পবন কল্যাণ (pawan-kalyan)জোর দিয়ে বলেন, এই সমস্যা শুধুমাত্র কর্মসংস্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, “এই অনুপ্রবেশের ফলে কর্মসংস্থানের অসুবিধা এবং তার সাথে জাতীয় নিরাপত্তা ও জড়িয়ে আছে “। তারা কীভাবে আধার কার্ড এবং রেশন কার্ড পাচ্ছে? তাদের থাকার জন্য অবশ্যই স্থানীয় নেটওয়ার্ক সহায়তা করছে। আমি এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি।”

স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার

তিনি (pawan-kalyan)স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ স্থানীয়দের জন্য অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। আমি মনে করি, এটি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সাধারণ উদ্বেগ। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের নিজেদের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি; আমরা অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের এই সীমিত সুযোগগুলো কেড়ে নিতে দিতে পারি না।”

বৃহত্তর নিরাপত্তা ইস্যু সম্বোধন করে উপ-মুখ্যমন্ত্রী (pawan-kalyan)বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশ, এবং সাধারণভাবে দক্ষিণাঞ্চল, একটি সহজ লক্ষ্য। আমরা ইতিমধ্যেই অতীতে কোয়েম্বাটুর এবং হায়দ্রাবাদে বোমা বিস্ফোরণের মতো ঘটনা দেখেছি।”

তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে, আমি কাকিনাডা বন্দরে একটি সম্ভাব্য হুমকির তথ্য পেয়েছিলাম, যা আমি পুলিশের মহাপরিচালকের (ডিজিপি) সঙ্গে শেয়ার করেছি। তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের যৌথ অভিযানে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো আইন-শৃঙ্খলার গুরুত্ব তুলে ধরে, এবং আমাদের পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।”

পবন কল্যাণ (pawan-kalyan)গুন্টুর এবং অন্যান্য অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতির বিষয়ে ব্যাপক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের উপকূলরেখায় উচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।” তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশে শান্তি ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সতর্কতা এবং দৃঢ় পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

Advertisements

পাক গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে কাশ্মীর সফরে তৃণমূল

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ একটি জটিল সমস্যা

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি ভারতের জন্য একটি জটিল এবং সংবেদনশীল সমস্যা। রোহিঙ্গারা মূলত মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা, যারা সেখানে নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে আসছে। ভারতে তাদের উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, বিশেষ করে কর্মসংস্থান এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।

পবন কল্যাণের (pawan-kalyan)মতে, অন্ধ্রপ্রদেশে রোহিঙ্গাদের আগমন স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস করছে, যা ইতিমধ্যেই একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে কীভাবে এই ব্যক্তিরা আধার কার্ড এবং রেশন কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচ্ছেন, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জাতীয় নিরাপত্তার উপর প্রভাব

জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি পবন কল্যাণের (pawan-kalyan)বক্তব্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ ভারত, বিশেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশ, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য একটি সহজ লক্ষ্য হতে পারে। অতীতের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাগুলোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা প্রয়োজন। কাকিনাডা বন্দরে সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে তিনি ডিজিপির সঙ্গে তথ্য শেয়ার করেছেন, এবং এর ফলে যৌথ পুলিশ অভিযানে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে।

স্থানীয় কর্মসংস্থানের জন্য অগ্রাধিকার

পবন কল্যাণ (pawan-kalyan)স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলোতে স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অবৈধভাবে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের দ্বারা এই সুযোগগুলো কেড়ে নেওয়া হলে স্থানীয় অর্থনীতি এবং সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

পবন কল্যাণের (pawan-kalyan)এই মন্তব্য অন্ধ্রপ্রদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচনা করেছে। তিনি এই সমস্যাকে শুধুমাত্র কর্মসংস্থানের বিষয় হিসেবে নয়, জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গেও যুক্ত করেছেন। রাজ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য তিনি পুলিশ এবং প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর এই আহ্বান রাজ্যের নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, যা স্থানীয় কর্মসংস্থান এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে।