বড় ধাক্কা খেল নীতীশ সরকার, জাতভিত্তিক ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল

লোকসভা ভোট মিটতেই বড় রায় দিল পাটনা হাইকোর্ট। আর পাটনা হাইকোর্টের রায়ে চমকে গিয়েছেন সকলে। পাটনা হাইকোর্ট অনগ্রসর শ্রেণি, ইবিসি, এসসি এবং এসটিদের জন্য ৬৫…

nitish copy বড় ধাক্কা খেল নীতীশ সরকার, জাতভিত্তিক ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল

লোকসভা ভোট মিটতেই বড় রায় দিল পাটনা হাইকোর্ট। আর পাটনা হাইকোর্টের রায়ে চমকে গিয়েছেন সকলে। পাটনা হাইকোর্ট অনগ্রসর শ্রেণি, ইবিসি, এসসি এবং এসটিদের জন্য ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করেছে।

এদিন আদালত ডাক ও পরিষেবা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এবং বিহার (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি) সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০২৩-কে ১৪, ১৫ এবং ১৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সমতার ধারা লঙ্ঘন হিসাবে বাতিল করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নীতীশ কুমারের সরকার জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করেছিল। সেইসময়ে মহাজোট সরকারের নেতৃত্বেও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মহাজোট সরকার জাতিগত আদমশুমারির পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে রাজ্যে সংরক্ষণের শতাংশ ৬৫ এ নিয়ে গিয়েছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহাজোটের প্রধান দল রাষ্ট্রীয় জনতা দলও এই সংরক্ষণের কৃতিত্ব নিয়েছিল।

   

কোনও দলই বলেনি যে সংরক্ষণের শতাংশ বাড়ানো ভুল ছিল। কিন্তু এখন পাটনা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের সংরক্ষণের শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছে। তবে আজ সেই সংরক্ষণই বাতিল করে দিল আদালত। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা করছে নীতীশ সরকার। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন পাটনা হাইকোর্ট তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, সর্বাধিক অনগ্রসর এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে ৬৫ টি সংরক্ষণ দিয়ে বিহার সরকারের আইন বাতিল করেছে। পাটনা হাইকোর্ট একে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছে। অর্থাৎ, এখন তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, সর্বাধিক অনগ্রসর এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরিতে ৬৫টি সংরক্ষণ পাবেন না। ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের পুরনো ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।