SSSC পরীক্ষায় পেপার লিক, পরীক্ষা বাতিল, নতুন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

উত্তরাখন্ড, ১২ অক্টোবর: উত্তরাখণ্ড সাবঅর্ডিনেট সার্ভিসেস সিলেকশন কমিশন (UKSSSC) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গ্র্যাজুয়েট-লেভেল নিয়োগ পরীক্ষার পেপার (UKSSSC) লিক হওয়ার কারণে সেই পরীক্ষা বাতিল করেছে। পরীক্ষাটি সঠিকভাবে…

paper-leak-leads-to-cancellation-of-uksssc-graduate-exam-re-test-to-be-held-in-three-months

উত্তরাখন্ড, ১২ অক্টোবর: উত্তরাখণ্ড সাবঅর্ডিনেট সার্ভিসেস সিলেকশন কমিশন (UKSSSC) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গ্র্যাজুয়েট-লেভেল নিয়োগ পরীক্ষার পেপার (UKSSSC) লিক হওয়ার কারণে সেই পরীক্ষা বাতিল করেছে। পরীক্ষাটি সঠিকভাবে হওয়ার পর কিছু সময়ের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্রের কিছু অংশ ফাঁস হয়ে যায়, যা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। UKSSSC কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে নতুন পরীক্ষা আগামী তিন মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।

Advertisements

উত্তরাখণ্ড সাবঅর্ডিনেট সার্ভিসেস সিলেকশন কমিশনের চেয়ারম্যান জি এস মার্তোলিয়া শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, “সেপ্টেম্বর ২১ তারিখে অনুষ্ঠিত গ্র্যাজুয়েট-লেভেল পরীক্ষা, যা বিভিন্ন রাজ্য সরকারি দপ্তরের নিয়োগের জন্য ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, হরিদ্বারের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্রের তিনটি পৃষ্ঠা ফাঁস হয়েছে এবং পরীক্ষার পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে পুরো রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। প্রায় এক লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা ৪১৬টি শূন্যপদ যেমন পাটওয়ারি, লেখপাল এবং অন্যান্য সরকারি পদে নিয়োগের জন্য ছিল।

Advertisements

ঘটনার পর, উত্তরাখণ্ড বেকার ইউনিয়নের সদস্যরা এক সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ শুরু করেন এবং সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায়। বেকাররা দাবি করেছেন যে, পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কারণে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং তারা দ্রুত নতুন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চেয়েছেন।

পেপার লিকের ঘটনায় UKSSSC এর সেক্রেটারি শিব বার্নওয়াল জানিয়েছেন যে, পেপার লিকের উৎস খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে একটি আইফোন নিয়ে গিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলেন এবং তা তার বোনকে পাঠিয়ে দেন। এরপর, ওই বোন ছবিগুলি একটি কলেজের অধ্যাপকের কাছে পাঠিয়ে দেন, যিনি প্রশ্নগুলি সমাধান করে আবার সেগুলি পাঠিয়ে দেন। এই ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর, পরীক্ষার্থী এবং তার বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে দেরাদুনের রাইপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে, এই ঘটনা রাজ্যের সরকারি পরীক্ষা ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশেষ করে, অনেক পরীক্ষার্থী এবং তাদের পরিবার এই অনিয়মের জন্য ক্ষুব্ধ, এবং তারা মনে করেন যে, রাজ্য সরকার এবং কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতেও এমন অনিয়মের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

এদিকে, উত্তরাখণ্ডের সাধারণ জনগণ এবং পরীক্ষার্থীরা এই ঘটনার পর থেকেই সরকার এবং কমিশনের দিক থেকে আরও স্বচ্ছতা ও সতর্কতা দাবি করছেন। তারা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের জন্য নয়, পুরো রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং সুনামের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। প্রশাসনের প্রতি তাদের দাবি, যাতে পরবর্তীতে এমন ঘটনা আর না ঘটে এবং পরীক্ষার প্রতি জনগণের আস্থা বজায় থাকে।