রাজধানী দিল্লির পুরনো দুর্গে (purana qila) খনন কাজ চলছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ ASI-এর তত্ত্বাবধানে করা এই খননে মাটিতে পুঁতে থাকা প্রমাণগুলি পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে দিল্লির ইতিহাস সম্পর্কে শক্তপোক্ত তথ্য জানা যায়। এই দুর্গের নীচে পাণ্ডব সভ্যতার সংস্কৃতি রয়েছে বলে প্রত্নতাত্ত্বিক দফতরের আশঙ্কা। শুধু এই প্রমাণের জন্য খনন চলছে৷
অতীতে সমাহিত ইতিহাস জানতেই এই খননকার্য৷ দিল্লির পুরাতন দুর্গে প্রাক-মুঘল ও মৌর্য সভ্যতার প্রমাণও পাওয়া গেছে। খননের আরও গভীরতা খুঁজে বের করার কথা। ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে পাণ্ডব যুগের ঘটনাগুলি সংযুক্ত, তবে প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। সে কারণে খনন কাজ দ্রুত চলছে। এএসআই-এর পরিচালক বসন্ত স্বর্ণকার বলেন, মৌর্য আমল থেকে মুঘল আমল পর্যন্ত সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা ক্রমাগত খনন করা হয়েছে। প্রতিটি সময়ের কাঠামো আছে, মানুষের কর্মকাণ্ড আছে। আমাদের এখানে সব ধরনের পুরাকীর্তি রয়েছে।

এছাড়াও তিনি বলেন যে, প্রাচীন সাহিত্যে এই স্থানটিকে সর্বদা মহাভারতের ইন্দ্রপ্রস্থের সাথে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে। পুরাতন দুর্গের খননে এ পর্যন্ত পাওয়া জিনিসপত্র এখানে নির্মিত জাদুঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত এখানে ৪ বার খনন করা হয়েছে, যা পাওয়া গেছে তা এখানে রাখা হয়েছে। ১৯৫৪ সালে প্রথমবার এখানে খনন করা হয়েছিল, তারপরে শুঙ্গ ও কুষাণ যুগের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। তারপর ১৯৬৯এবং ১৯৭৩ সালে খননকালে ৮টি আমলের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
২০১৩ এবং ২০১৭ সালের খননে মৌর্য এবং এর আড়াই হাজার বছরের পুরনো ইতিহাসের তথ্য পাওয়া গেছে। এএসআই-এর ডিরেক্টর বলেন, দিল্লিতে ওল্ড ফোর্টই একমাত্র এই ধরনের সাইট। যেখানে দেখা যাবে আড়াই হাজার বছরের ইতিহাস। এখানে পরিকল্পনা করা হয়েছে যে প্রতিটি যুগের স্থাপনাগুলো খুলে দেওয়ার পর সেগুলো সংরক্ষণ করে মানুষের দেখার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।