PAM: কেরলে মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার দৌরাত্মে মৃত ১৯! বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

নয়াদিল্লি: কেরলে বাড়ছে মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার (PAM) দাপট! বাড়ছে মৃত, আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই কেরলে মারা গিয়েছেন ১৯ জন, আক্রান্ত ৭০ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সতর্কতা জারি করেছে কেরল স্বাস্থ্য দফতর। প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস বা (PAM) একধরণের ব্রেন ইনফেকশন যেটির সংক্রমণে মৃত্যুর হার অত্যধিক। নেগেলেরিয়া ফাউলেরির সংক্রমণে এই ইনফেকশন হয়ে থাকে। যেটিকে চলতি ভাষায় মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা বলা হয়।

Advertisements

কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, বর্তমানে ভয়ংকর স্বাস্থ্য-সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কেরল। শুরুতে কোজিকোডে এবং মলপ্পুরমে দেখা দিলেও বর্তমানে এই ইনফেকশন সমগ্র রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “৩ মাসের শিশু থেকে শুরু করে ৯১ বছরের বৃদ্ধও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত বছরের থেকে এই বছরের পাম আক্রমণের ধরণ পাল্টেছে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করেছেন।”

   

কীভাবে আক্রমণ করে PAM?

কেরল সরকারের একটি তথ্য অনুযায়ী, PAM কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এই সংক্রমণ মস্তিষ্কের টিস্যু ধ্বংস হয়, যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মস্তিষ্ক ফুলে যায় এবং মৃত্যু ঘটে। PAM বিরল এবং সাধারণত সুস্থ শিশু, কিশোর এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়। “মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবার বাহক হল উষ্ণ, বিশেষ করে স্থির, মিষ্টি জল। শ্লেষ্মা এবং ক্রিব্রিফর্ম প্লেটের মধ্য দিয়ে এটি প্রবেশ করে। দূষিত জল পানের সঙ্গে এই রোগের কোনও সম্পর্ক নেই বলে ওই তথ্যে বলা হয়।

PAM ইনফেকশনের লক্ষণগুলি কি?

Advertisements

PAM সংক্রমণে মৃত্যুর হার অত্যধিক। কেননা প্রাথমিক ভাবে এই সংক্রমণ ধরা পড়ে না। সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, বমি বমি ভাবের মত লক্ষণগুলি দেখা যায়। যতক্ষণে পরিষ্কার হয় যে রোগীর মেনিঞ্জাইটিস বা অন্য কোনও সাধারণ জ্বর-সর্দি হয়নি, ততক্ষণে সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। মূলত মিষ্টি জমা জল থেকেই এই সংক্রমণ হয় বলে জানানো হয়েছে। যারা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন বা উষ্ণ আবদ্ধ জলাশয়ে স্নান করেন, তাঁদের মধ্যে এই সংক্রমণ হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। ১ থেকে ৯ দিনের মধ্যে PAM সংক্রমণের লক্ষণগুলি দেখা যায়।

কীভাবে PAM সংক্রমণের নিরাময় করা হয়?

গত ৬ দশকে যতগুলো রোগীকে PAM সংক্রমণ থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই প্রাথমিক পর্যায়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ ধরা পড়বে, রোগীকে বাঁচানোর সম্ভাবনা বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।