রাজস্থানের জয়সলমেরের কাছে ভারতীয় আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী একটি পাকিস্তানি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ভূপাতিত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর বিমানের পাইলটকে রাজস্থানের লাঠি এলাকা থেকে ভারতীয় বাহিনী বন্দি (Pakistani Pilot Captured) করেছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই ঘটনা উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানি বিমানটি ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত সাড়া দেয় এবং বিমানটিকে ধ্বংস করে। এই ঘটনা ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং সীমান্তে নজরদারির দৃঢ়তার প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার বিবরণ
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাকিস্তানের একটি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমায় জয়সলমেরের কাছে প্রবেশ করে। ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে আকাশ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম, তাৎক্ষণিকভাবে সক্রিয় হয় এবং বিমানটিকে আকাশে থাকতেই ধ্বংস করে। সূত্রের খবর, বিমানটি ভূপাতিত হওয়ার পর এর পাইলট ইজেক্ট করার চেষ্টা করলেও তিনি লাঠি এলাকায় ভারতীয় বাহিনীর হাতে বন্দি হন। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, পাইলটের ইজেকশন সিট কাজ না করায় তিনি গুরুতরভাবে আহত হন, এবং তাকে ভারতীয় বাহিনী হেফাজতে নিয়েছে। তবে, এই তথ্যের আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ এখনও পাওয়া যায়নি।
জেএফ-১৭ থান্ডার একটি চতুর্থ প্রজন্মের হালকা ও একক ইঞ্জিনের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান, যা পাকিস্তান এয়ারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স এবং চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন যৌথভাবে তৈরি করেছে। এই বিমানটি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পুরোনো এ-৫সি, এফ-৭পি/পিজি, মিরাজ III এবং মিরাজ V বিমানগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি এয়ার-টু-এয়ার, এয়ার-টু-সারফেস এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সহ বিভিন্ন অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। তবে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দক্ষতার কাছে এই বিমানের ক্ষমতা ব্যর্থ হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপট
এই ঘটনা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার একটি অংশ। গত ৭ মে, ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নির্ভুল মিসাইল হামলা চালায়, যা ২২ এপ্রিল পাহালগামে ২৬ জন পর্যটকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়। ভারত দাবি করেছে, তাদের হামলা জৈশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের ঘাঁটির উপর কেন্দ্রীভূত ছিল। পাকিস্তান এই হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর দাবি করে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।
জয়সলমেরে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক মিসাইল হামলার চেষ্টা এবং জেএফ-১৭ বিমানের অনুপ্রবেশ এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ! এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান জয়সলমের অঞ্চলে ৭০টির বেশি মিসাইল নিক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলো ধ্বংস করে। এই জেএফ-১৭ বিমানের ভূপাতন এবং পাইলটের বন্দিদশা পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক কৌশলের একটি অংশ হতে পারে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জয়সলমেরের এই ঘটনা স্থানীয় জনগণ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সী ✗ সীমান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। জয়সলমের, বাড়মের, বিকানের এবং শ্রী গঙ্গানগরের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে স্কুলগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন, তবে ভারত ঐতিহাসিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সমস্যায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
লাঠি এলাকায় পাকিস্তানি পাইলটের বন্দিদশা এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের ভূপাতন ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার একটি শক্তিশালী প্রদর্শন। এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দ্রুত প্রতিক্রিয়া জাতীয় গর্বের উৎস হয়ে উঠেছে। তবে, এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।