জম্মু বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের ড্রোন হামলা, শহর জুড়ে ব্ল্যাক আউট

জম্মু ও কাশ্মীরের জম্মু বিমানঘাঁটি এবং সাতওয়ারি ক্যান্টনমেন্টে বৃহস্পতিবার সন্ধেতে সামরিক হামলার ঘটনা ঘটেছে (pakistani)। আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একাধিক হামলার খবর পাওয়া গেছে। জম্মু বিমানবন্দরের…

pakistani drone attack

জম্মু ও কাশ্মীরের জম্মু বিমানঘাঁটি এবং সাতওয়ারি ক্যান্টনমেন্টে বৃহস্পতিবার সন্ধেতে সামরিক হামলার ঘটনা ঘটেছে (pakistani)। আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একাধিক হামলার খবর পাওয়া গেছে। জম্মু বিমানবন্দরের আশপাশে এয়ার রেইড সাইরেন বেজে উঠেছে, এবং পুরো জম্মু অঞ্চলে সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে। শহরে মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে, যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই হামলাগুলো ভারতের অপারেশন সিঁদুর এর পর পাকিস্তানের (pakistani) পাল্টা আক্রমণের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

https://x.com/i/status/1920502632394719510

   

হামলার বিবরণ (pakistani)

জম্মু বিমানঘাঁটি, যা সাতওয়ারি বিমানবন্দর নামেও পরিচিত, ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) নিয়ন্ত্রণাধীন একটি উচ্চ নিরাপত্তা অঞ্চল। এই বিমানঘাঁটি ভারত-পাকিস্তান (pakistani) আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার রাতে, জম্মু বিমানঘাঁটি এবং সাতওয়ারি ক্যান্টনমেন্টে ড্রোন এবং রকেট ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে । সূত্রের খবর অনুযায়ী ড্রোন হামলা পাঠানকোটে ও । সূত্রের খবর অনুয়ায়ী ৮ টি পাকিস্তানী ড্রোন নিষ্ক্রিয় করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী।

স্থানীয় সময় রাত ৮টার পর থেকে বিমানঘাঁটির কাছে সাইরেন বেজে ওঠে, এবং সন্দেহজনক বস্তু আকাশে দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত সক্রিয় হয়ে পাকিস্তানি ড্রোনগুলো ধ্বংস করে।

একাধিক সূত্র জানায়, জম্মু, শ্রীনগর, অমৃতসর, জলন্ধর এবং লুধিয়ানার মতো উত্তর ও পশ্চিম ভারতের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলার চেষ্টা করে। ভারতের ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এই হামলাগুলো প্রতিহত করে। হামলার ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে, যা পাকিস্তানের আক্রমণের প্রমাণ বহন করে।

ব্ল্যাকআউট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ

হামলার পরপরই জম্মু অঞ্চলে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই ব্ল্যাকআউট নিরাপত্তার স্বার্থে জারি করা হয়েছে, যাতে শত্রুপক্ষের ড্রোন বা অন্যান্য আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু সনাক্তকরণ কঠিন হয়। জম্মু শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে, যার ফলে বাসিন্দারা যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এটি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পরিষেবা পুনরায় চালু হবে।

SAFF U-19 চ্যাম্পিয়নশিপ 2025 ফ্রী–তে কোথায় দেখবেন? জেনে নিন

Advertisements

অপারেশন সিন্দুরের প্রেক্ষাপট

এই হামলাগুলো ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটেছে। ৭ মে ভোরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান (pakistani) ও পিওজেকে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই অভিযান পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়, যেখানে ২৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়। অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়। পাকিস্তান এই হামলার জবাবে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও তদন্ত

জম্মুতে হামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত করছে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-এর একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলো পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হয়েছে। ড্রোনগুলোর ফ্লাইট পাথ এবং ব্যবহৃত বিস্ফোরকের ধরন নির্ধারণের জন্য ফরেনসিক বিশ্লেষণ চলছে।
পাঠানকোট, যেখানে ২০১৬ সালে বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, সেখানেও উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে (pakistani)।

জনজীবনে প্রভাব

ব্ল্যাকআউট এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধের কারণে জম্মু শহরে জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। বাসিন্দারা নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করছেন। বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু হবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই হামলার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সামরিক সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন। চীন, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত শান্তি আলোচনার সমর্থন করেছে।

জম্মু বিমানঘাঁটি ও সাতওয়ারি ক্যান্টনমেন্টে হামলা ভারত-পাকিস্তান (pakistani) উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই হামলা প্রতিহত করলেও, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করা এখন অগ্রাধিকার। জনজীবন স্বাভাবিক করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় উভয় দেশের সংযম প্রয়োজন।