নয়াদিল্লি: প্রাক্তন সিআইএ কর্মকর্তা জন কিরিয়াকু, যিনি পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সম্প্রতি পাকিস্তানকে এক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসলামাবাদকে একটি স্পষ্ট নীতি নির্ধারণ করতে হবে যে ভারতবিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তান কোনও লাভ করবে না।
যুদ্ধের কোনো সুফল নেই
কিরিয়াকু স্মরণ করলেন, ২০০১ সালের পার্লামেন্ট হামলার পর সিআইএ আশঙ্কা করেছিল যে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ সম্ভাব্য যুদ্ধের দিকে ঝুঁকতে পারে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বাস্তব যুদ্ধের কোনো সুফল নেই। এখানে আমি পারমাণবিক অস্ত্রের কথা বলছি না, শুধুই প্রচলিত যুদ্ধের কথা। পাকিস্তান হেরে যাবে, তাই ভারতকে ক্রমাগত উস্কে দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
এর পাশাপাশি কিরিয়াকু আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উন্মোচন করেন। তিনি বলেন, ২০০২ সালে পাকিস্তানে দায়িত্বকালীন সময়ে তাঁকে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মার্কিন পেন্টাগনের হাতে রয়েছে।
পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মার্কিন হাতে
ভারতের সঙ্গে এই তথ্য ভাগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে কিরিয়াকু বলেন, “আমি সন্দেহ করি যে আমেরিকানরা ভারতকে জানিয়েছে যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণও মার্কিন হাতে রয়েছে। পাকিস্তান সবসময়ই দাবি করে এসেছে যে তাদের অস্ত্র তাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট উভয় পক্ষকে বলেছিল—যদি যুদ্ধ হয়, তা সংক্ষিপ্ত এবং অ-পরমাণবিক রাখুন। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ফলে বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। তাই উভয় পক্ষই সংযম দেখিয়েছে।”
নতুন দিল্লিও পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছে যে পারমাণবিক হুমকি ভারত কখনো সহ্য করবে না।


