১৩০টি মিসাইল ভারতের দিকে, উঠল পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি

ভারত ও পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন কোনও নতুন বিষয় নয়। কিন্তু সম্প্রতি পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে পাকিস্তানি মন্ত্রীদের একের পর এক হুমকির কারণে।…

India-Pakistan Tensions Escalate: Mock Drills Across States, Cross-Border Firing at LoC, UNSC Monitoring Situation

ভারত ও পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন কোনও নতুন বিষয় নয়। কিন্তু সম্প্রতি পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে পাকিস্তানি মন্ত্রীদের একের পর এক হুমকির কারণে। এবার প্রকাশ্যে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিলেন পাকিস্তানের মন্ত্রী হানিফ আব্বাসি(India-Pakistan) । তার এই মন্তব্য শুধু কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এক গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হানিফ আব্বাসির (India-Pakistan)  বক্তব্য ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট ও আক্রমণাত্মক। তিনি বলেন, “ভারতের দিকে তাক করে রাখা আছে ১৩০টি ব্যালেস্টিক পরমাণু মিসাইল। এই অস্ত্রগুলি আমরা সাজিয়ে রাখিনি, প্রয়োগ করার জন্যই তৈরি।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তান যেন একরকম যুদ্ধ ঘোষণাই করে ফেলল। আর তার প্রধান কারণ—ভারতের(India-Pakistan) সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত।

   

সিন্ধু জলচুক্তি ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায়(India-Pakistan) । এই চুক্তির আওতায় ভারত তার নির্ধারিত জল ভাগ পায়, এবং পাকিস্তান পায় সিন্ধু, ঝেলম ও চেনাব নদীর অধিকাংশ জল। কিন্তু বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান জঙ্গি কার্যকলাপ ও সীমান্তে অতর্কিত হামলার প্রেক্ষিতে ভারত এই চুক্তি নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্য আরও উস্কানিমূলক। তিনি বলেন, “যদি ভারত আমাদের জল বন্ধ করে দেয়, তাহলে সিন্ধুতে (India-Pakistan) ভারতীয়দের রক্ত বইবে।” এই ধরনের বক্তব্য শুধু উত্তেজনাই বৃদ্ধি করে না, বরং শান্তির পথে যেকোনও সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দেয়।

হানিফ আব্বাসি আরও বলেন, “ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলো আমাদের এয়ারস্পেস বন্ধ থাকলে দেউলিয়া হয়ে যাবে।” তিনি দাবি করেন, ভারত যদি জল সরবরাহ বন্ধ করে, তাহলে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ অনিবার্য হবে এবং পাকিস্তান তার প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত। তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, কেউ জানে না পাকিস্তান (India-Pakistan) তার পরমাণু অস্ত্র কোথায় রেখেছে। এমন গোপনীয়তা ও হুমকির মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান আসলে বিশ্বের সামনে নিজেকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করছে।

Advertisements

তবে পাকিস্তানের(India-Pakistan) এই কড়া বক্তব্যের পেছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন যে পাকিস্তান গত তিন দশক ধরে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছে, যদিও তিনি দাবি করেন তা মূলত আমেরিকা ও ব্রিটেনের স্বার্থে করা হয়েছে।

এই স্বীকারোক্তি ও বর্তমান হুমকির মধ্যে এক সুস্পষ্ট যোগসূত্র রয়েছে। পাকিস্তান (India-Pakistan) যেন নিজের রাজনৈতিক ব্যর্থতা ও অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ঢাকতে ভারত-বিরোধী আগ্রাসী রণনীতিকে হাতিয়ার করছে। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে হুমকি কেবল একটি বিপজ্জনক খেলা নয়, এটি গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার উপর এক গভীর ছায়া ফেলতে পারে।

ভারত (India-Pakistan) এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে পরিমিত ও দায়িত্বশীল প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চলেছে। তবে পরিস্থিতি যদি এমনই অব্যাহত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে আরও বড় সংঘাতের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়—এই বার্তাটা উভয় দেশের নেতাদের যত তাড়াতাড়ি বোঝা উচিত, ততই মঙ্গল।