‘স্পাই’ ইউটিউবার জ্যোতিকে ফাঁসানো পাক কূটনীতিক আসলে আইএসআই এজেন্ট

Pakistan embassy official trapped spy YouTuber  নয়াদিল্লি: ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে ফাঁসানোর পেছনে রয়েছে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তার হাত! তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর…

Pakistan embassy official trapped spy YouTuber 

Pakistan embassy official trapped spy YouTuber 

নয়াদিল্লি: ভারতের জনপ্রিয় ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে ফাঁসানোর পেছনে রয়েছে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তার হাত! তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা গিয়েছে, ওই কর্মকর্তা আসলে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট। তার নাম দানিশ, ওরফে এহসান-উর-রেহমান।

ভারত-পাক সম্পর্কের পারদ তুঙ্গে

সম্প্রতি পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের পারদ তুঙ্গে পৌঁছেছে৷ পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর দানিশকে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হাত ছিল বলেই ভারতের দাবি৷ ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তদন্তও শুরু করে।

   

সূত্রের খবর, দানিশের পাসপোর্ট ইসলামাবাদ থেকে ইস্যু করা হয়েছিল৷ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে ভারতীয় ভিসা দেওয়া হয়। তাঁর জন্ম পাকিস্তানের নারোয়াল শহরে, যা গোয়েন্দা সংস্থার জন্য একটি বড় ইঙ্গিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তথ্যের মাধ্যমে, দানিশের গতিবিধি ও উদ্দেশ্য নিয়ে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু হয়।

দানিশ কি কোডনেম? Pakistan embassy official trapped spy YouTuber 

পাক হাইকমিশনের বহিষ্কৃত কর্মকর্তা দানিশ ওরফে এহসান উর রেহমান আদৌ নিজের আসল নামে কাজ করছিলেন, না কি ‘দানিশ’ ছিল পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর দেওয়া একটি কোডনেম—তা নিয়ে এখন তদন্তে নেমেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।

সূত্রের দাবি, দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের ভিসা ডেস্কে নিযুক্ত থাকলেও দানিশের “প্রকৃত দায়িত্ব” ছিল অনেকটাই ছায়াচ্ছন্ন। আইএসআই-এর ডিরেক্ট নির্দেশে সে নিযুক্ত ছিল গুপ্তচর তৈরির মিশনে—ভারতের মাটিতে নতুন এজেন্ট সংগ্রহ করে পাক গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য।

দানিশের অন্যতম লক্ষ্য ছিলেন হরিয়ানার ট্র্যাভেল-ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা। গত সপ্তাহে যিনি পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হন। নিরাপত্তা সংস্থাকে জেরায় জ্যোতি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে পাকিস্তান ভিসার জন্য হাইকমিশনে গেলে প্রথম দানিশের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তাকে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে “ইন্টেলিজেন্স অ্যাসেট”-এ পরিণত করার ছক কষছিল আইএসআই।

Advertisements

হাইকমিশনের ছাদ তলায় লুকিয়ে ‘স্লিপার সেল’?

এই প্রথম নয়। দিল্লির পাক হাইকমিশন দীর্ঘদিন ধরেই আইএসআই-এর ছদ্মবেশী এজেন্টদের ‘ডিপ্লোম্যাটিক কভার’ দিয়ে মোতায়েনের মঞ্চ বলে উঠে এসেছে গোয়েন্দা রিপোর্টে। এইসব ‘কর্মকর্তা’দের নিয়মিত ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পোস্টিং দেওয়া হয়—মুলত ভারতীয় নিরাপত্তা তথ্য, সেনা চলাচল এবং সমাজমাধ্যমে সক্রিয় ব্যক্তিদের নজরে রাখা-ই তাদের মূল কাজ।

২০২০ সালের ৩১ মে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ও মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স যৌথ অভিযানে হাইকমিশনের আরও দুই ভিসা অফিসার—আসলে আইএসআই এজেন্ট—আবিদ হুসেন ও তাহির খান-কে ধরেছিল। ভারতের সামরিক তথ্য পাচারের অভিযোগে তাদের তড়িঘড়ি বহিষ্কার করা হয়।

চাপে হাইকমিশন, সতর্ক দিল্লি

এই প্রেক্ষাপটে পাক হাইকমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে। দিল্লির গোয়েন্দা দফতর ইতিমধ্যে হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মীদের গতিবিধির উপর কড়া নজরদারি শুরু করেছে। পাকিস্তানের এই ‘স্লিপার নেটওয়ার্ক’ ভেঙে দিতে কেন্দ্র চাইছে আরও কড়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ।

Bharat: Indian YouTuber Jyoti Malhotra’s honey trap linked to Pakistan High Commission official Danish, an alleged ISI agent. Expelled after Pahalgam attack, Danish targeted Indians for espionage. Investigations reveal his true role in building Pakistan’s spy network in India.