Saturday, December 6, 2025
HomeBharatভারতের আকাশে টহল দিচ্ছে পাকিস্তানি কপ্টার! বাড়ছে উদ্বেগ

ভারতের আকাশে টহল দিচ্ছে পাকিস্তানি কপ্টার! বাড়ছে উদ্বেগ

- Advertisement -

জেলম: দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের নিকট বিস্ফোরণের পর ভারতজুড়ে উত্তেজনা বাড়তেই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যেন বাড়তে শুরু করেছে শঙ্কার ছায়া। বিশেষত সীমান্তবর্তী পাঞ্জাব প্রদেশে পাক সেনার নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাকিস্তান আর্মি অ্যাভিয়েশনের অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলোকে জেলম শহরের আকাশে যুদ্ধাভ্যাস চালাতে দেখা গেছে যা ভারত-পাক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

Advertisements

সূত্রের খবর, পাকিস্তানি সেনা এই মহড়া পরিচালনা করেছে গুরহা সালিম এয়ারবেস থেকে। জেলম শহরটি ভারত-পাক সীমান্তের ওয়াঘা পয়েন্ট থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার দূরে। ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে এই অবস্থান অত্যন্ত সংবেদনশীল। কারণ জেলমকে বহু দশক ধরেই পাকিস্তান সেনার উত্তর ও কেন্দ্রীয় কমান্ডের গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক করিডর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

   

ভয়াবহ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি? জরুরি ভিত্তিতে ২০০০ আর্টিলারি বন্দুকের প্রয়োজন সেনার

যদিও পাকিস্তান সরকার বা আইএসপিআর এই হেলিকপ্টার মহড়া নিয়ে কোনও প্রকাশ্য মন্তব্য করেনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে AH-1Z Viper বা Mi-35 ধরনের অ্যাটাক হেলিকপ্টারকে নিম্ন-উচ্চতায় শহরের উপর চক্কর দিতে দেখা গেছে। রাতেও নাকি যুদ্ধসজ্জার মতো আলো জ্বালিয়ে উড়তে দেখা গেছে।

দিল্লি বিস্ফোরণ কেবল জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নয়, বরং ভারতীয় গোয়েন্দা মহলে ক্রমশ পাকিস্তানি জঙ্গি নেটওয়ার্কের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট নয়, কিন্তু পাকিস্তানের অ্যাকশন দেখে মনে হচ্ছে, ইসলামাবাদ সেই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না। ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তের পাশে এই ধরনের হেলিকপ্টার অপারেশন সাধারণ মহড়ার চেয়ে কৌশলগত বার্তা দেওয়ার জন্যই বেশি ব্যবহৃত হয়।

জেলমকে ‘সিটি অব সোলজার্স’ বলা হয়। এখানে বহু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা থাকেন এবং শহরজুড়ে বিভিন্ন সেনা স্থাপনা রয়েছে। যে কারণে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়লেই এই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়ানো পাক সেনার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তবে এইবার যেভাবে হেলিকপ্টার মহড়া বেড়েছে, তা স্বাভাবিক ট্রেনিং-এর বাইরেই পড়ে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্ত এখনও চলছে। সন্দেহভাজন জঙ্গি যোগ, আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক—সবই তদন্তকারীদের নজরে। সে কারণে ভারতের অভ্যন্তরে যেমন সজাগতা বাড়ছে, তেমনই পাকিস্তানও পরোক্ষভাবে নিজেদের প্রস্তুতি দেখাতে চাইছে। পুরো ঘটনায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন পাকিস্তান কি শুধু সতর্কতা নিচ্ছে, নাকি ভারতকে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে উত্তেজনা বাড়লে তারা প্রতিরোধে প্রস্তুত?

Advertisements
- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular