পুঞ্চ: জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় পাকিস্তানি অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল ভারতীয় সেনা৷ গত ৪ এবং ৫ তারিখ রাতের অন্ধকারে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি। তবে ভারতীয় সেনা প্রতিরোধ গড়ে তোলে৷ গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় সাত অনুপ্রবেশকারীকে। নিহতদের মধ্যে ২-৩ জন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য এবং বাকিরা সম্ভবত আল-বদর গোষ্ঠীর সদস্য বলে মনে জানা যাচ্ছে৷
সূত্রের খবর, লস্কর, জইশের মত একাধিক জঙ্গি সংগঠনের মাথারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। ভারতে অনুপ্রবেশ কিংবা হামলার ছক কষতেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে রয়েছেন জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। ফলে সেনা বাহিনী অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে৷
ভারতীয় সেনা সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (BAT) একটি ফরওয়ার্ড পোস্টে হামলা চালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনার তীব্র প্রতিরোধে তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। সেনাবাহিনী তাদের আক্রমণ নস্যাৎ করে দেয় এবং হামলাকারীদের গুলি করে হত্যা করে।
পাকিস্তান যখন ‘কাশ্মীর সলিডারিটি ডে’ উদযাপন করছে, ঠিক তখনই এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের এই দিবস মূলত ভারতের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রচারণা হিসেবে পালিত হয়। ভারত সরকার বারবার জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ চিরকাল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক শুধুমাত্র সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে সম্ভব।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সম্প্রতি বলেন, তারা কাশ্মীরসহ সমস্ত সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমাধান করতে চায়। তবে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) এবং লস্কর-ই-তাইবা (LeT)-এর নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায়, তাদের দ্বৈত নীতি আবারও সামনে এসেছে।
ভারত সরকার স্পষ্টভাবে বলেছে যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে, কোনও আলোচনা সম্ভাব নয়। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
সম্প্রতি জম্মু অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে, যার ফলে ৪৪ জন নিহত হয়েছে, এর মধ্যে ১৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।