কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ১৪ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এখনও অধরা সেই হামলার মূল চক্রী ও জঙ্গিরা। দিনেদুপুরে পর্যটনে ভরা এলাকায় বুলেটবৃষ্টিতে ২৬ জন নিরীহ মানুষের(Pahalgam Terror Attack) প্রাণহানি ঘটিয়েছে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা (Pahalgam Terror Attack) । অথচ দুই সপ্তাহ পার হলেও আজও ধরা পড়েনি মূল মাস্টারমাইন্ড। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেই ১৪ দফা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী একের পর এক নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও এখনও পর্যন্ত পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack) হামলা নিয়ে কোনও সরাসরি বিবৃতি(Pahalgam Terror Attack) দেননি। তাঁর এই নীরবতা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন—কেন “মৌন” মোদি? সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে ঘাসফুল শিবির সাফ জানিয়েছে, “১৪ দিন কেটে গেল, ২৬টি প্রাণ গেল, জঙ্গিরা এখনও বাঁচা! প্রধানমন্ত্রী কি শুধুই হুঙ্কার দেবেন, না কী এবার পদক্ষেপও নেবেন?”
১৪ দফা প্রশ্নে মোদি সরকারকে জবাবদিহির দাবি
তৃণমূলের উত্থাপিত ১৪ দফা প্রশ্নগুলির মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও মানবিক দিক। যেমন:
-
পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) ১৪ দিন পরও কেন অধরা জঙ্গিরা?
-
গোয়েন্দা তথ্য থাকলেও কেন আগাম সতর্কতা গ্রহণ করা হয়নি?
-
তদন্ত কতদূর এগিয়েছে? আদৌ কি মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ মিলেছে?
-
কেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাননি প্রধানমন্ত্রী?
-
কেন প্রধানমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত এই হামলা নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি?
-
দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র?
-
পাকিস্তানকে এখনও পর্যন্ত কোনও পালটা জবাব দেওয়া হয়নি কেন?
-
জওয়ান পি কে সাউ পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি, তাঁকে দেশে ফেরাতে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
এই প্রশ্নগুলির মাধ্যমে তৃণমূল দাবি করেছে, শুধু রাজনৈতিক ভাষণ বা চড়া সুরের হুঙ্কার দিয়ে দেশবাসীর ক্ষোভ প্রশমিত করা সম্ভব নয়। প্রত্যক্ষ পদক্ষেপ ও ন্যায়ের প্রতিফলনই হতে পারে প্রকৃত প্রতিশোধ।
শোকের আবহে ক্ষোভের বিস্ফোরণ
এই নারকীয় ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এলেও, সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়েছে প্রবল ক্ষোভও। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদীদের স্পষ্ট পাকিস্তানি (Pahalgam Terror Attack) যোগের পরও নয়াদিল্লির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জনসাধারণ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতানেত্রী—প্রত্যেকেই চাচ্ছেন পালটা জবাব। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনও সামরিক বা কূটনৈতিক (Pahalgam Terror Attack) ব্যবস্থা দৃশ্যমান নয়। শুধু বিহারের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, “অপরাধীদের কল্পনাতীত শাস্তি দেওয়া হবে।” তবে সেটি কেবল হুঙ্কার হিসেবেই থেকে গেছে বলে মনে করছে বিরোধী শিবির।
সীমান্ত নিরাপত্তা ও বন্দি জওয়ানের প্রশ্ন
তৃণমূল আরও একটি সংবেদনশীল (Pahalgam Terror Attack) ইস্যু সামনে এনেছে—বাংলার জওয়ান পি কে সাউ, যিনি পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের হাতে বন্দি। তাঁকে এখনও পর্যন্ত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার বা সেনার কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তৃণমূলের প্রশ্ন—”এমন সংকটময় মুহূর্তে একজন ভারতীয় সেনা পরিবারের সন্তানকে নিয়ে সরকারের নিশ্চুপতা কি কাম্য?”
পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack) শুধু একটি সন্ত্রাসবাদী ঘটনা নয়, বরং সেটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়বদ্ধতা নিয়ে গভীর প্রশ্ন তোলে। তৃণমূলের তোলা ১৪ দফা প্রশ্ন সেই বাস্তবতাকেই সামনে নিয়ে এসেছে। এখন দেখার বিষয়, ‘মৌনমোদি’ এই প্রশ্নগুলির জবাব আদৌ দেবেন কি না। দেশের মানুষের প্রত্যাশা, শোকের বদলে এবার যেন দেখা যায় দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া ও সাহসী পদক্ষেপ।