নয়াদিল্লি: ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এর বৈসরণ উপত্যকায় চালানো জঙ্গি হামলায় (Pahalgam terror attack) প্রাণ হারান ২৬ জন সাধারণ নাগরিক। তদন্তে উঠে এসেছে, এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সরাসরি জড়িত ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক মহলের নির্দেশেই এই হামলার ছক তৈরি হয়। পুরো হামলায় শুধু পাকিস্তানি জঙ্গিদেরই ব্যবহার করা হয়, যাতে ষড়যন্ত্র গোপন থাকে।
হামলায় নেতৃত্বে সুলেইমান
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার নেতৃত্বে ছিল সুলেইমান নামের এক পাকিস্তানি নাগরিক, যার পূর্ব পরিচয় সম্ভবত পাকিস্তানের স্পেশাল ফোর্সের সদস্য হিসেবে। সে লস্করের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যুক্ত ছিল এবং ২০২২ সালে জম্মু অঞ্চলে প্রবেশ করে। স্যাটেলাইট ফোনের তথ্য অনুযায়ী, হামলার এক সপ্তাহ আগে থেকেই সে ত্রাল অঞ্চলে লুকিয়ে ছিল।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, সুলেইমান ২০২৩ সালের পুঞ্চ হামলাতেও যুক্ত ছিল, যেখানে পাঁচ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন।
স্থানীয় সহায়তা সীমিত, বড়সড় নকশা ছিল পাকিস্তানের
এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে কোনও কাশ্মীরি জঙ্গি জড়িত ছিল না বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। স্থানীয় দু’জন ব্যক্তি, পারভেজ আহমদ জোথার ও বশির আহমদ জোথার, যারা পহেলগাঁও-এর বাসিন্দা, তাদের গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)। তাদের ভূমিকা সীমিত, মূলত খাবার ও আশ্রয় দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
সেনার প্রতিক্রিয়া: অপারেশন ‘সিন্দুর’
এই ঘটনার পর ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারতীয় সেনা। চার দিনব্যাপী এই অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিহত হয় বলে সূত্রের দাবি। অভিযানে সীমান্তবর্তী কিছু পাকিস্তানি ঘাঁটির উপরও পাল্টা হামলা চালানো হয়।
কাশ্মীর উপত্যকায় সাম্প্রতিক এই হামলা আবারও উঠে আসছে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসের মদত ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের বাস্তবতা। তদন্ত এখনও চললেও প্রাথমিক তথ্য থেকে স্পষ্ট, হামলার পেছনে ছিল বহিরাগত জঙ্গিদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।