Pahalgam Attack: ভারতীয় নৌবাহিনী ৭ মে, ২০২৫ তারিখে কর্ণাটকের কারওয়ার উপকূলে আরব সাগরে একটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ মহড়া পরিচালনা করতে চলেছে। মহড়াটি সকাল ৮:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ পর্যন্ত চলবে এবং কারওয়ার থেকে প্রায় ৩৯০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য নৌবাহিনী (NOTAM) জারি করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর, ভারতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া কেবল নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশই নয়, বরং পাকিস্তানের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা যে ভারত এখন স্থল বা সমুদ্র, যেকোনো ক্ষেত্রেই প্রস্তুত।
কারওয়ার নৌঘাঁটি কী?
কারওয়ার নৌঘাঁটি, যা ভারতীয় নৌসেনার একটি কৌশলগত কেন্দ্র, এই গুলিবর্ষণ মহড়া একরকমভাবে দেখায় যে ভারত কেবল নিয়ন্ত্রণ রেখায়ই নয়, সামুদ্রিক সীমান্তেও সতর্ক এবং আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করছে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে বড় সামরিক বার্তা
পাকিস্তান ক্রমাগত সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে আসছে। পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গি কার্যকলাপের চিহ্ন পাওয়ার পর, ভারত এখন পাল্টা কৌশল নিয়ে কাজ করছে।
এমন পরিস্থিতিতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া কেবল একটি প্রশিক্ষণ নয় বরং পাকিস্তান এবং তাদের দ্বারা সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে জানানোর একটি উপায় যে ভারতের তিনটি সেনাবাহিনীই সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। এই মহড়া ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
কারওয়ার থেকে পহেলগাঁওয়ে যারা রক্তপাত করেছে তাদের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে ভারত চুপ করে থাকবে না। এখন, প্রতিটি দিক থেকে উত্তর পাওয়া যাবে। আকাশপথে, স্থলপথে এমনকি সমুদ্রপথেও।
পাহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে
২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে একটি ভয়াবহ হামলা ঘটে। পুলওয়ামা হামলার পর এই হামলাকে সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। নির্মম সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৬ জন গুলিবিদ্ধ এবং নিরস্ত্র পর্যটক নিহত হয়। এর পর, পাহেলগাঁও হামলার পর গোটা দেশ পাকিস্তানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পাকিস্তানের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভারত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর ফলে, একদিকে সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান চলছে। এছাড়াও, এই আক্রমণের তদন্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে। এর পর, পাকিস্তানও জলের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করেছে। এছাড়াও, অনেক পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।