কেরালার নীলেশ্বরম, কাসারগোড় জেলায় এক ভয়াবহ আতশবাজির দুর্ঘটনায় ( Firecracker Storage Accident) ১৫০-এরও বেশি লোক আহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর। সোমবার রাত ১২টার দিকে ঘটে এই ঘটনা। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহতদের (Firecracker Storage Accident) দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ভীরারকাভু মন্দিরের নিকটবর্তী একটি আতশবাজির স্টোরেজ ফ্যাসিলিটির আগুন ধরে যাওয়ার কারণে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আতশবাজির এই স্টোরেজে অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। রাতের অন্ধকারে হঠাৎ এই ঘটনার ফলে পুরো এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে লোকজন দৌড়াতে শুরু করে। প্রথমে কেউই বুঝতে পারেনি যে, এত বড় একটি দুর্ঘটনা (Firecracker Storage Accident) ঘটেছে। পরবর্তীতে যখন ধোঁয়া আর আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায়, তখনই সবাই বিষয়টি উপলব্ধি করে। স্থানীয়রা দ্রুত সেবা সংস্থাগুলোকে খবর দেয় এবং আহতদের উদ্ধার করতে শুরু করে।
আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই স্থানীয় বাসিন্দা এবং উৎসবে অংশ নিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার (Firecracker Storage Accident) হয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু শিশু এবং মহিলাও রয়েছে, যাঁদের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য কাসারগোড়, কন্নুর এবং মঙ্গলুরুর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো আহতদের চিকিৎসায় সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহতদের চিকিৎসা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং বলেছেন, সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে আহতদের অবস্থা দ্রুত পর্যবেক্ষণ করা যায়।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাটি (Firecracker Storage Accident) নিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্দির কর্তৃপক্ষও এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং বলেছেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মন্দিরে আতশবাজির উৎসব ছিল, যা প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়। তবে, নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
এই দুর্ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই নিরাপত্তার অভাব এবং বিধিনিষেধ না মানার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন। কিছু ব্যবহারকারী সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এই ধরনের উৎসবগুলোর সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
কেরালার এই ঘটনা শুধু সেখানে নয়, বরং সারা দেশে আতশবাজির নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলে ধরেছে। যে উৎসবগুলো আনন্দের জন্য উদযাপন করা হয়, সেখানেই যদি এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, তবে তা আমাদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানায়। আশা করা যায়, সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আগামীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং যেন এ ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
আহতদের সুস্থতা কামনা করছি এবং প্রত্যেকের জন্য প্রার্থনা করছি। এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে যাতে আমরা ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনার সম্মুখীন না হই।