প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Modi) আজ বিহারের গয়ায় এক জনসভায় দুর্নীতি বিরোধী নতুন আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “এনডিএ সরকার দুর্নীতি বিরোধী একটি আইন এনেছে, এবং এই আইনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী নিজেও রয়েছেন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আরজেডি, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি এই আইনের বিরোধিতা করছে। তারা খুব ক্ষুব্ধ। কে না জানে তারা কীসের ভয় পাচ্ছে?” এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বিহারের গয়ায় জনসভায় বলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি গ্রহণ করেছে। এই নতুন আইনের মাধ্যমে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মন্ত্রী এবং এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের আওতায় আসবেন। মোদি দাবি করেন, এই আইন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে এবং দেশে স্বচ্ছ শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, “আমাদের সরকারের ১৫ বছরের শাসনকালে আমার বিরুদ্ধে একটি টাকারও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে স্বাধীনভাবে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর আরজেডি, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বিহারের জনগণকে প্রতারণা করতে এসেছেন। তিনি বেকারত্ব ও অভিবাসনের মতো প্রকৃত সমস্যা এড়িয়ে বিরোধীদের উপর আক্রমণ করছেন।” তিনি এই আইনকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেন, “এনডিএ সরকার গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আঘাত করছে।” তিনি বিহারে জাতি জনগণনার ভিত্তিতে ৬৫% সংরক্ষণের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে সরকারের নীতির সমালোচনা করেন।
বাম দলগুলি, বিশেষ করে সিপিআই(এম) এবং সিপিআই, এই আইনকে বিরোধী নেতাদের নিশানা করার হাতিয়ার হিসেবে দেখছে। তারা দাবি করেছে, ইডি এবং সিবিআই-এর মতো সংস্থাগুলি মোদী সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বিরোধীদের দমন করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বক্তব্য এনডিএ-র দুর্নীতি বিরোধী প্রচারকে আরও জোরদার করেছে। তিনি বলেন, “এনডিএ সরকার গত ১১ বছরে দেশে সেবা, সুশাসন এবং গরিব কল্যাণের মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়েছে।”
তবে, বিরোধীরা দাবি করছে, এই আইন বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “এই সরকার গণতন্ত্রের উপর অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করেছে।”
কবে থেকে মিলবে মোহনবাগানের এসিএল ম্যাচের টিকিট?
বিহারে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব রাহুল গান্ধীকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন, যা ইন্ডিয়া জোটের ঐক্যের ইঙ্গিত দেয়। তবে, এনডিএ-র শরিক দলগুলি, যেমন জেডি(ইউ) এবং টিডিপি, মোদির নেতৃত্বে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।