BJP: সংসদে বিলের ইংরেজি নাম বদলে যাচ্ছে হিন্দিতে, আড়ালে কোন হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা?

নাম বদল করা মোদী সরকারের (Narendra Modi) একটি ব্যামোতে পরিনত হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে অতীতে একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার আবারও সেই একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি…

Indian Parliament Bill name change to Hindi

নাম বদল করা মোদী সরকারের (Narendra Modi) একটি ব্যামোতে পরিনত হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে অতীতে একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার আবারও সেই একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হল। সংসদে পেশ করা একাধিক বিলের ইংরেজি নাম হিন্দিতে বদলে দিচ্ছে কেন্দ্র (Government of India)।

NEET: নিট নিয়ে এনটিএকে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ, পড়ুয়াদের স্বার্থে স্বচ্ছ রাখতে হবে গোটা প্রক্রিয়া

   

যারফলে বিলটির বিষয়বস্তু মাথায় ঢুকছে না অনেকেরই, বিশেষত দক্ষিণীদের। শুক্রবার এই নিয়েই সংসদে সরব হলেন আরএসপির সাংসদ এনকে প্রেমচন্দ্রন। তিনি বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী সংসদে আনা বিলগুলি ইংরেজিতে হওয়া উচিত।

প্রেমচন্দ্রন যুক্তি দেন, সংবিধানের ৩৪৮ ১খ, ১২০ এবং ৩৪০ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করেছে বিলটি। সরকারি ভাষা আইনের ধারা ৩-ও মানেনি এই বিল।” সম্প্রতি একটি বিল এনেছিল কেন্দ্র যার নাম ছিল এয়ারক্র্যাফ্ট বিল, ১৯৩৪। বিলটির শিরোনাম ছিল ইংরেজিতে। বিলটির বিষয়বস্তুও ছিল ইংরেজিতে। কিন্তু, সরকার শুধু বিলের নাম পরিবর্তন করে ‘ভারতীয় বায়ু বিধেয়ক’ করতে চায়। এই কঠিন উচ্চারণ করা দক্ষিনীদের জন্য সম্ভব নয়। ওই বিলের এমন নামকরণের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আরএসপির ওই সাংসদ।

হিরণের মামলায় দেবকে নোটিস হাইকোর্টের, ভোট কারচুপির অভিযোগে বেকায়দায় সুপারস্টার

জবাবে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী,রামমোহন নাইডু বলেন, “প্রেমচন্দ্রনজি যে উদ্বেগগুলি তুলেছেন, তা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা প্রবর্তনের সময়ই সুরাহা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে আগে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আইনটিকে ভারতীয় বায়ুযান বিধেয়ক হিসেবে উল্লেখ করে আমরা কোনও সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন করিনি। আমরা ভারতের নতুন পরিচয় তৈরির চেষ্টা করছি। যা নিয়ে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা নয়।”

১৯৩৪ সালে এই বিলটি এনেছিল তদকালীন ব্রিটিশ সরকার। তারপর ২১ বার বিলের সংশোধন করা হয়। তারমধ্যে বহু বিষয়কে কাঁটছাট করাও হয়েছে। এবার বিলের নাম হিন্দিতে রূপান্তর নিয়ে সংসদে নতুন তরজা শুরু হল বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। এই উত্তর ভারতীয় হিন্দি আগ্রাসন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন আন্দোলন চলেছে দক্ষিণী রাজ্যগুলিতে।

শালবনী ইস্পাত কারখানা নিয়ে জারি জট জটিলতা, আদালতের কাঠগড়ায় সৌরভ গাঙ্গুলি?

বিজেপির হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তামিলনাডুর ডিএমকের মতো দলগুলিও। ক্ষমতায় ফেরার পরই ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের নাম বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা করেছে কেন্দ্র। এবারও একাধিক বিলের ইংরেজি নাম বদলে হিন্দিতে পেশ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাই ‘নতুন ভারতীয় পরিচয়’ তৈরির আড়ালে ভারতকে হিন্দুত্ববাদের দিকে ঝোঁকাতেই কী এমন নাম পরিবর্তন করছে মোদী সরকার? প্রশ্ন উঠছে এমনই।